Header Border

ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ২৫.৫১°সে
শিরোনাম:
খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে নই , অসুস্থতায় অনুপস্থিত বরিশাল নগরীর নাজিরের পুলে মাদক কেনাবেচা বন্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।। শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ফকিরহাটে ইজিবাইকের সাথে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত-৩ পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মতবিনিময় সভা গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এক আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ কাল শপথ, ড. ইউনূসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব : সেনাবাহিনীর প্রধান ১১ দফা দাবীতে গোপালগঞ্জে পুলিশের বিক্ষাভ টুঙ্গিপাড়ায় নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ পালিত

তোদের বংশসহ শেষ করা হয়েছে – বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই

 বাঙালী জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যিনি।দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে যুগ যুগ ধরে শোষিত হয়ে আসা বাঙালী জাতিকে দিয়েছেন মুক্তির স্বাদ। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাত্রিতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। বাঙালি জাতির জন্য আজীবন সংগ্রাম করা এ মহানায়কের পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়াটা ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। যা এ জাতি কে বয়ে যেতে হবে চিরকাল।

১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরদিন ১৬ আগস্ট সামরিক হেলিকপ্টারে করে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।সেখানে তাকে বিনা গোসলে দাফন করতে চাইলে গ্রাসবাসীর আপত্তির মুখে পড়ে সেনা সদস্যরা।

পরে থমথমে অবস্থার মধ্যে দায়সারাভাবে কাপড় কাচার ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল ও রেডক্রসের মার্কিন কাপড় দিয়ে সমাহিত করা হয় জাতির পিতার মরদেহ।সেদিন টুঙ্গিপাড়াবাসী ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করে সশস্ত্র সেনারা। জানাযায় অংশ নিতে দেয় মাত্র ২০ – ২৫ জনকে। বঙ্গবন্ধু মরদেহর জানাযা,দাফনসহ পরিবারের উপর সেই অত্যাচারের কথা জানতে কথা হয় বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পুরনো বাড়িতে বসবাস করছেন।

একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সেদিনের কথা তুলে ধরেন প্রতিবেদকের কাছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ভোরবেলা ঢাকা থেকে ফোন আসে আমার বড় ভাইয়ের যে ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২শে সব শেষ টুঙ্গিপাড়ার অবস্থা কি? তখনও বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিছু সময় রেডিওতে শুনতে পেলাম ‘আমি মেজর ডালিম বলছি ‘ বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সকল কে হত্যা করা হয়েছে’। এসংবাদ শোনার পরে আমরা বাড়ির সবাই থমকে গেলাম।

কারো মুখে কোন ভাষা নাই। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে বাঙালি বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করতে পারে। পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর টুঙ্গিপাড়ায় যোগাযোগের জন্য আমাদের বাড়িতে একটা ওয়্যারলেস সেট করেছিলেন। রেডিওতে শেনার পর আমি সেই ওয়ারলেসের মাধ্যমে ঢাকায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। পরে আমার ভাই আমাকে নিশ্চিত করে যে বঙ্গবন্ধু সহ তার পরিবারের সকল কে হত্যা করা হয়েছে। আমার কাছে জানতে চাই টুঙ্গিপাড়ার কি অবস্থা? ১৬ আগস্ট সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে এলাকাবাসীরা আসতে শুরু করলেন। ১০টার দিকে পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসতে লাগলেন। এসময় এলাকাবাসীর মধ্যে একটা ভয় কাজ করতে ছিল।

১২ টার দিকে ওসি সাহেব আমাকে ডেকে বললেন কবরস্থান দেখাও। তখন আমি আমাদের নতুন একটি কবরস্থান দেখাই। যেটি ফজিলাতুন্নেছা করেছিলেন। পরে ওসি সাহেব আমার বাবা ও চাচা কে নিয়ে কবরস্থানটি ঘুরে দেখেন। ১টার দিকে ওসি সাহেব বললেন দ্রুতই কবর খোড়ার ব্যবস্থা করেন।তখন আমি বললাম কয়টা কবর খুড়বো, তখন তিনি কখনো বলেন ৪টা কবর খোড়ো, ৮টা কবর খোড়ো আবার কখনো বলে ১০টা কবর খোড় তোদের বংশসহ শেষ করা হইছে। তখন চিৎকার করে কান্না আসিতেছিল কিন্তু কানতে পারতেছিলাম না।

দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে দেখলাম একটি হেলিকপ্টারে করে মরদেহ আসলো।বাড়ির আশপাশ ঘীরে ফেললেন সেনা সদস্যরা।ঘর থেকে কাউকে বের হতে দিচ্ছিলেন না।এরমধ্যে আমি দৌড়ে গিয়ে মফেল চৌকিদার নামে বাড়ির পাশে একজনকে ডেকে নিয়ে আসলাম। বঙ্গবন্ধুর বাবা মার কবরের পাশে কবর খোড়ার জন্য। বাড়ির পাশের আরো কয়েকজন ছুটে এলেন কবর খুড়তে। তখন আমার চাচা আমাকে ইশারা দিয়ে বললেন তুই বাড়ির ভিতরে যা। কিছু সময় পর বঙ্গবন্ধুর মরদেহের কফিন হেলিকপ্টার থেকে নামানো হলো। তখন ওই সেনা সদস্যরা বললেন লাশ ওই অবস্থায় কফিন সহ মাটি দিতে।কিন্তু আমাদের মসজিদের ইমাম বললেন না এভাবে লাশ মাটি দেওয়া যায় না।

এভাবে মাটি দেওয়া হয় শহীদের লাশ। পরে ইমামসহ এলাকাবাসীর আপত্তির কারনে লাশ গোসল ও জানাযার অনুমতি দেয় সেনা সদস্যরা। সময় বেধে দেওয়া হল ত্রিশ মিনিট। পরে গোসল করানোর মধ্য দিয়ে পাশের একটি হাসপাতালের রেডক্রসের মার্কিন কাপড় ও বাড়ির পাশে একটি দোকান থেকে ৫৭০ সাবান আনা হলো। পরে সেই সাবান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর গোসল করানো হলো। রেডক্রসের ওই মার্কিন কাপড় দিয়ে জড়িয়ে জানাজা হলো। জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হলো মাত্র ২০ -২৫ জনকে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে এসেছিলেন কিন্তু তাদের বঙ্গবন্ধুর মুখ তো দুরের কথা জানাজয় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।দাফন শেষে তড়িঘড়ি করে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরে গেলেন সেনাসদস্যরা।ভাবতেই পারছিলাম না যার বাপ দাদারা জমিদার ছিলেন, নিজে ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি, যার এক তর্জনীর মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়েছিল দেশ তার মরদেহের দাফন হলো ৫৭০ সাবান ও মার্কিন কাপড় দিয়ে।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে নই , অসুস্থতায় অনুপস্থিত
ফকিরহাটে ইজিবাইকের সাথে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত-৩
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ
১১ দফা দাবীতে গোপালগঞ্জে পুলিশের বিক্ষাভ
টুঙ্গিপাড়ায় কিডনি নষ্ট একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছেন চা বিক্রেতা
পিতার বাল্যকালের স্কুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যার্থনা জানাতে অপেক্ষায় শিশুরা

আরও খবর

İstifadəçi rəyləri Pin Up casino seyrək göstərilən xidmətlərin keyfiyyətini təsdiqləyir. azərbaycan pinup Qeydiyyat zamanı valyutanı seçə bilərsiniz, bundan sonra onu dəyişdirmək mümkün xeyr. pin-up Bunun üçün rəsmi internet saytına iç olub qeydiyyatdan keçməlisiniz. pin up Además, es de muy alto impacto y de una sadeed inigualable. ola bilərsiniz