ডিসি ও মেয়রের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী পাঁচুরিয়া- মধুমতি খালে জোয়ার ভাটা বইছে

গোপালগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী পাঁচুরিয়া- মধুমতি খাল অবমুক্ত করায় খালটি যেন পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ খালটি পুনরায় প্রাণ ফিরে পাওয়ায় সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) শাহিদা সুলতানা, পৌর মেয়র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ রকিব হোসেন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং মিষ্টি বিতরণের মধ্যদিয়ে অবমুক্ত করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই পাঁচুরিয়া -মধুমতি খাল। তীব্র স্রোত ও নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ১৯৫৯ সালে এই খালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে খালটি একসময় ময়লা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়। কালের বিবর্তনে খালটি ধীরে ধীরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পৌরমেয়রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে এ খালটি মধুমতি নদীর সাথে পুনঃসংযোগ স্থাপন করেছে। মধুমতি-পাঁচুরিয়া খাল পুনঃস্থাপনের বিষয়টি শুরুতে মোটেও সহজ ছিলো না। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের উদ্যোগে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই খালকে কেন্দ্র খালের দুই তীরে পর্যটক আকর্ষণে শোভাবর্ধন সহ নেওয়া হবে নানা উদ্যোগ। পাঁচুড়িয়া-মধুমতি খাল সংলগ্ন ঐতিহাসিক মসজিদটি সংস্কার করে আধুনিক ও নান্দনিক সৌন্দর্যে গড়ে তোলা হবে বলে জানান এলজিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ পৌরমেয়র শেখ রকিব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রুহুল আমিন শেখ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছা. নাজমুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন খান, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.অসিত কুমার মল্লিক, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো.এহসানুল হক, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জাহিদ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফইজুর রহমান, উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) বি.এম ইছানুল কবীর, বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *