ডিআইজি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৯৮ থানায় পুলিশি সেবার মান প্রশংসনীয় পর্যায়ে বেড়েছে
বাংলাদেশ পুলিশের আইকন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) -এর প্রত্যক্ষ নজরদারিতে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৮টি থানায় সেবার মান প্রশংসনীয় পর্যায়ে বেড়েছে।
ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা রেঞ্জের
আওতাধীন থানাগুলোতে সিসিটিভি বসিয়ে হয়রানিমুক্ত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করেছেন তিনি। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি জুম্মায় মসজিদভিত্তিক প্রচারণার মাধ্যমে পুলিশ-জনগণের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে স্থানীয় জনগনের উদ্দেশ্যে অফিসার-ইনচার্জদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য তার নির্দেশনা প্রচার করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলো নিরাপদ করে থাকেন। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা, দক্ষতা, চৌকস আর দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুলিশিং সেবা তাকে করেছে অনন্য।
পুলিশ কর্মকর্তা হলেও তিনি নানামুখি মানবিক কাজ করে কুড়িয়েছেন সুখ্যাতি। তার মহানুভবতার কারনে সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা পেয়েছে কর্মসংস্থান, আশ্রয়স্থলসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা। ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রথম সম্মুখযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবময় আত্মত্যাগের ইতিহাস সমুন্নত রাখতে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে তার গৌরবোজ্জ্বল অবদান। জাতীয় কাবাডি ফেডারেশনের নেতৃত্ব দিয়ে আলোকিত করেছেন ক্রীড়াঙ্গন। সাহিত্যাঙ্গনে রয়েছে তার পদচারনা, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মাসিক ডিটেকটিভ পত্রিকা প্রকাশ থেকে শুরু করে, বেদেদের নিজস্ব ভাষার প্রথম ও একমাত্র বই “ঠার” লেখা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের বিষয়ে বই প্রকাশ, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে বই লিখে প্রকাশ করেন। সাংস্কৃতিক জগতে ডিআইজি হাবিবুর রহমান কর্তৃক গবেষণা ও সংকলনায় পুলিশ নাট্যদল কর্তৃক দেশব্যাপী মঞ্চস্থ হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালোরাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে রচিত নাটক “অভিশপ্ত আগষ্ট “। পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র “ওয়েসিস” প্রতিষ্ঠা করে তিনি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। সময়োপযোগী ও দূরদর্শী নেতৃত্বগুনের কারণে বাহিনীতেও ছড়িয়েছে তার সুনাম, তার অধীনে থেকে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তার সহকর্মী ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সাফল্যে শুভ কামনা নিরন্তর।