টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৫, ৭ ও ৯ লগডাউন ঘোষনা


টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ দেশ ব্যপি সাধারণ ছুটি ১ জুন শেষ হওয়ার ২৯ দিন পর আজ (২৯ জুন) সোমবার করোনার সংক্রমন হার বেড়ে যাওয়ায় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৫, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ড লগডাউন ঘোষণা করেন টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা।
উল্লেখিত ওয়ার্ডের সকল জনগণ কে স্বাস্থ্যবিধী মেনে ঘরে অবস্থান করার কথা বলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রথম লকডাউন করা হয় গত ১৪ এপ্রিল, প্রথম দিকে জনসাধারণ লকডাউনের নিয়ম মেনে চললেও শেষের দিকে অনেকেই তা মানছিলো না। নানা অযুহাতে ঘরের বাইরে যেত। এমন কী এক স্থান থেকে অন্যস্থানেও যেত। জেলা সদরে লকডাউন কিছুটা মানা হলেও উপজেলাগুলোতে সেই প্রবণতা কম। শহরে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় লোক সমাগম বাড়তে শুরু করেছে।
বেড়েছে রিকশা, ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহনও। তবে বাস বা মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই অনেকেই মাইক্রোবাসে করে মাওয়া ঘাটে যাচ্ছেন। শহরের বেশ কয়েকজন শ্রমজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কাজ না থাকার খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা, তাই বাধ্য হয়েই কাজের খোঁজে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল্লাহ আল বাকী জানিয়ে ছিলেন।সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন লোকজনকে ঘরে রাখার জন্য। শ্রমজীবীদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল ।
সেনা, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা কাজ করে সর্বক্ষন। সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে । দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ নানা কাজ করছিলো জেলা প্রশাসন। তারপরও প্রশাসনের চোখের আড়ালে কিছু লোক নিয়ম ভাঙেছে।