টুঙ্গিপাড়ায় ব্রীজ সংলগ্ন অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ


গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাঁশবাড়িয়া ব্রিজের এ্যাপ্রোস সড়ক দখল করে ১০ টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা । এতে ওই ব্রিজে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি হচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সচতেন মহলের দাবি, প্রশাসনের নজরদারির অভাব ও দ্বায়িত্বহীনতার কারনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে বাঁশবাড়িয়া বাজারের খালের ওপর এলজিইডি একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় শ’শ’ যানবাহন চলাচল করে। বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হওয়ায় গত ১০/১৫ দিন আগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ব্রিজের সংযোগ সড়কে ১০টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন।
এতে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের ব্রিজে উঠতে সমস্যা হচ্ছে। তাই যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। সরজমিনে জানা যায়, প্রভাবশালী মুরাদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর তালুকদার, মিরাজ তালুকদার ও মাসুম তালুকদার যখন দোকানগুলো নির্মাণ করছিলেন তখন বাঁশবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বাধা দিয়েছিলো। কিন্তু তারা বাধা অতিক্রম করেই রাতের অন্ধকারেই তারা দোকানগুলো নির্মাণ করে।
এছাড়া ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা আরো ২০টি দোকানপাট গড়ে তুলে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। বাঁশবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি এলাকার কিছু লোক অবৈধভাবে ব্রীজের সাথেই দোকানঘর নির্মাণ করছেন। তখন সেখানে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে আসি। কিন্তু পরেরদিন সকালে দেখি দোকানগুলো নির্মাণ হয়ে গেছে। লেগুনা ও মহেন্দ্র গাড়ি চালক শওকত শেখ, ইমরান শেখ, আমির আলী, জুয়েল ইসলাম ও ঠান্ডা খা বলেন, দোকান গুলো নির্মাণ হওয়ায় ব্রীজে ওঠা নামার সময় ব্রিজ ঠিক দেখা যায়না। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে মানুষ চলাচল করে।
তাদের সাইড দিতে হয়। তারপর দোকানপাট গড়ে ওঠায় সেখানে দাড়িয়ে মানুষ কোনাকাটা করবে। এতে ব্রিজের এ্যাপ্রোসে গ্যাদারিং বেড়ে এ্যাপ্রোসটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরবে। একটু অসাবধান হলেই যেকোনো ধরনের বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দোকানঘর গুলো দ্রুত সরিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণকারী, জাহাঙ্গীর তালুকদার, মিরাজ তালুকদার ও মুরাদ তালুকদার বলেন, রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় অনেকেই দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। তাদের প্রশাসন কিছু বলে না। তাই আমরাও জায়গা ফাঁকা পেয়ে দোকানঘর নির্মাণ করেছি। এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে কেউ থাকতে পারবে না। এ বিষয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।