গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তাবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

আজ বুধবার (দুপুর ১২ টায়) জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন ।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), কমিটির সদস্য (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী প্রত্যাবর্তন ও পূর্ণবাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্ত নির্দিষ্টকরণ ও পুর্ণবাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। এছাড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, বাসন্তী চাকমা এমপি, সাবেক মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আয়শা সিদ্দিকা পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপরে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বঙ্গবন্ধু ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। সেখানে আগত দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে তার মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রাম হবে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।

আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি বাগান যেমন গোলাপ ফুল ছাড়া প্রকৃত সৌন্দর্য অর্জন করতে পারে না তেমনি আদিবাসী ছাড়া ও একটি দেশ বা জনগোষ্ঠী সৌন্দর্য অর্জন করতে পারে না। সুতরাং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে তিনি ও তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।