গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টা ৪৫ মিনেটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নিবরে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য দোয়া মোনাজাত করেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর গণভবন থেকে সড়কপথে রওনা দিয়ে সপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে সপরিবারে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই যাত্রাপথে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সকাল পৌনে ৯টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই তার গাড়িবহর সেতুতে উঠে যায়।

মূল সেতুতে ওঠার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য গাড়ি থেকে নামেন তিনি। এরপর সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে ও থেমে কিছু সময় অতিবাহিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় নব নির্মিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ লিটন চৌধুরী। এরপর সফর সঙ্গী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মধুমতি নদীতে নৌ বিহারে যান। এ সময় তারা পাটগাতী লঞ্চঘাটে নব নির্মিত বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবরস্থান ও আশপাশের এলাকায় নিছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার ছিলো। সফর শেষে বেলা ৩.৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক পথে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।