টুঙ্গিপাড়ায় অন্যোর জমি দখল করে নির্মান কাজ বাধা দেয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অন্যের জমিতে জোরপূর্বক নির্মান কাজকে কেন্দ্র করে এক যুবককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক হাসান শেখ (৩০) বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহতের পিতা হান্নান শেখ বলেন, শুক্রবার সকালে আমার ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় একই গ্রামের মোক্তার শেখ ও তার ছেলে জোর করে নির্মান কাজ করতে গেলে আমি ও আমার ছেলে হাসান বাধা দেয়। তখন তারা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমরা স্থানীয় মুরব্বিদের কাছে গেলে তারা জায়গা মাপামাপি না হওয়া পর্যন্ত নির্মান কাজ করতে নিষেধ করে মোক্তার শেখকে। স্থানীয় মুরব্বিদের কথা অমান্য করে তারা দুপুরে আবারও আমার জায়গায় নির্মান কাজ শুরু করে। তখন স্থানীয়রা আবার বিষয়টি সাময়িকভাবে মিটিয়ে দেয়। কিন্তু মোক্তার ও তার ছেলে হামিম শেখ (গেদু) সন্ধায় পূনরায় নির্মান কাজ শুরু করে। তখন আমার ছেলে হাসান বাধা দিলে মোক্তার, গেদু সহ আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাসানকে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। তখন বাড়ির মহিলাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। কিন্তু হাসানের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, মোক্তার শেখের ছেলে হামিম শেখ ওরফে গেদুর নামে একটি বাহিনীও রয়েছে। কারো মনোমালিন্য হলেই সে ও তার বাহিনীর লোকজন তাদের মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। এর আগে একই গ্রামের বিমান বাহিনীতে কর্মরত মিজান শেখের ছেলেকেও গেদু বাহিনী কুপিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তাই এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।

এবিষয়ে জানতে মোক্তার শেখের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি গ্রহন করেননি। এছাড়া তার ছেলে গেদুর মুঠোফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এব্যাপারে কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দ্বায়ের করেনি। অভিয়োগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া বাহিনীর বিষয়েও খোজ নেয়া হবে



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *