টুঙ্গিপাড়ায় আরো একজন করোনায় মৃত্যু

মৃত্যু

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ ২১শে এপ্রিল বুধবার রাত ৯:৩০ হাসেম শিকদার (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মহামারী (কোভিট ১৯) করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত হাসেম শিকদার (৮০) টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়ন এর গ‌ওহরডাঙ্গা গ্রামের মোঃ চান মিয়া শিকদার এর ছেলে। টুংগীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জসিম উদ্দিন দৈনিক শতবর্ষকে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিষয়টি পরিদর্শন করতে পরে টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম মৃত হাশেম শিকদার এর বাড়ি পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার।

গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল।

কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার।

টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়।

এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *