টাঙ্গাইলের ফরিদা বেগম এখন ঢাকার প্রতারনা চক্রের প্রধান।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকায় স¦ামী সন্তান রেখে ঢাকা শহরে এসে কখনো ফরিদা, কখনো সোনালী, কখনোবা লাবনী আক্তার নামে করছে প্রতারনা, ফাঁদে ফেলে আদায় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ৩০ বছর বয়াসী এই নারীর স্বামী- আনিচ একজন সবজি বিক্রেতা। ৪ সন্তানের জননী এই ফরিদা বেগম। জানা যায় ফরিদা বেগম, পিতা- ফজলুল হক, কলেজ পাড়া, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল। প্রতারনার শিকার বহু সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেরা। সেই সাথে তার খপ্পরে পড়ে ভেঙ্গেছে অনেক সাজানো সংসার, হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

এভাবেই ফরিদা বেগমের প্রতারনার শিকার গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গিমাডাঙ্গা গ্রামের নুর- ইসলাম ফকির। তিনি ঢাকা শ্যামলীর আদাবরে বসবাস করেন রজনীতির সাথে জড়িত। ঢাকা মহানগর আদাবর থানার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িতে আছেন। গোপালগঞ্জের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। ১৯১৭ সালে ফোনালাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। তারপর নুরইসলামের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন। কয়কবার দেখা করার পর নাটকীয় ভাবে নুর- ইসালামকে বিয়ে করে। বিয়র পর থেকে প্রতারক চক্রের প্রধান ফরিদা বেগম তার আসল রূপ দেখাতে শুরু করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থায় নুর ইসলামকে প্রতাড়িত করে টাকা আদাই করাই ছিল তার কাজ। এক পর্যায়ে ফরিদার দলের অন্যান্ন সদস্যরা বাসায় এসে নর-ইসলামের উপর মানষিক ও অস্ত্র দেখিয়ে টাকা পয়সা সিনিয়ে নিয়ে যেতো। লোকলজ্জা ও সামাজিক অবস্থানের কারনে নিরবে সহ্যা করতো সে। নুর- ইসলামের পরিবারের লোক জনের উপরও সে অত্যাচার আরম্ভ করতে থাকে।

কোন উপায় না দেখে তিনি মোকামঃ বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হকিমের আদালত ঢাকা, ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং – ৩৩০/ ২০২০। এ মামলায় ফরিদা বেগম দোষি হওয়ায় তাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেন। ২৯ দিন জেল খাটার পর তার দলের লোকজন তাকে জামিনে বের করে আনে। জেল থেকে বের হবার পর আবারও নুর ইসলামকে তার সন্ত্রাসী বাহীনি অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে এবং নানা রকম ভয়ভীতি দিতে থাকে। নিজের জীবনের নিরাপত্তা জন্য সে বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে নুর-ইসলাম বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং- সি,আর ২৪/২০২১।ভুক্তভোগী নুর-ইসলাম গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ফরিদা বেগম ঢাকা শহরে এসে প্রতারনা চক্র গড়েছে।

ঐ চক্রের কাজই মানুষকে প্রতারনা করে টাকা আদায় করা। আমার দেওয়া মামলার তদন্ত অফিসার এস,আই রবিউল
এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে রেহায় পায়নি। তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে ফরিদা বেগম ছাড়াও আরও অনেক সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এদের কারনে নিস্বঃ সর্বশান্ত হচ্ছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। এদের প্রতিহত করার জন্য পুলিশ প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ ব্যাপারে ফরিদার পরিবারের কাছে যানতে চাইলে বলেন, আমার মেয়ের ব্যাপারে আমরা জেনেছি। আমরা তাকে অনেক বার নিষেদ করেছি কিন্তু সে আমাদের কথা শোনে না। আমরাদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *