ঝালকাঠিতে মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল


মাত্র একশত টাকা খরচে পুলিশে চাকরি পেয়ে স্বপ্নপূরণ হলো ঝালকাঠি জেলার ১৯ তরুণ-তরুণীর। কোনো ধরনের ঘুষ-বানিজ্য কিংবা তদবীর ছাড়াই তাদের চাকরি হয়েছে। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার। আশা পূরণ হয়েছে বাবা-মায়ের। এতে খুশি চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা। ঘুষ ছাড়া চাকরি দিতে পেরে আনন্দিত পুলিশ সুপার।
ঝালকাঠিতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষায় ৬৪৬ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫২ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হয়। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৪১ জন। বুধবার তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। মেধা এবং সব কোটা মিলে তিন জন নারী কনস্টেবল ও ১৬ জন পুরুষ কনেস্টেবল চুরান্ত করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই তাঁরা পাবেন নিয়োগপত্র।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকালে ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। এ সময় উত্তীর্ণরা আনন্দে আত্নহারা হয়ে পরেন। কোনো ধরনের ঘুষ-তদবীর ছাড়াই মাত্র ১০০ টাকায় চাকরি পেয়ে খুশি তারা। যোগ্যতার ভিত্তেতে চাকরি হওয়ায় আনন্দিত অভিভাবকরাও। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন তাদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, আমরা যখন প্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডেকেছি, তখনই বলে দিয়েছিলাম কোন প্রকার প্রতারণার শিকার যেন কেউ না হয়। কারো সাথে আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। আমরা সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে চাকরি দেবো।
আমি আমার কথা রেখেছি, আমাদের জেলায় ১৯ জনকে শুধুমাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আশা করবো যারা পুলিশে যোগদান করবে, তারাও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।