জলিরপাড় ইউনিয়নের কলিগ্রামে রাস্তার বেহাল দশা,ভোগান্তি চরমে

 গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলিরপাড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের কলিগ্রাম বাস স্ট্যান্ড ব্রীজ হতে ঠাকুরের দোকান এবং ইসক ফলিয়ার বাড়ি হইতে নদীর পাড় ধরে চান্দার বিল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

এ এলাকার কৃষক কৃষাণী ও সাধারণ মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চান্দার বিল হতে হাজার হাজার মেট্রিক টন বোরো,আমন ধান পাকা রাস্তা না থাকায় মাথায় করে বহন করে নিয়ে আসছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। গাড়িচালক, পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে অনেক বছর ধরে। তবে এবার সেই উপায়ও নেই। তার উপর বৃষ্টিতে পুরো সড়কের যাচ্ছে-তাই অবস্থা। শুধু গাড়ি চালক নয়,পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে এ রাস্তা।

জলিরপাড় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় জলিরপাড় ইউনিয়নের মূল সড়কের সাথেই সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মোটরবাইক চালক আলমাস শেখ বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আর খাইতে পারমুনা মনে হয়।অন্য কাম খোজতে হইবো।নাইলে না খাইয়া মরমু,কারন এ রাস্তায় গাড়ি লইয়া নামলে বাড়ি ফিরতে পারমু কিনা তার গ্যারান্টি নাই। স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য ইয়ালিকিম ফলিয়া বলেন, আমরা পুরোপুরি অসহায়, এরাস্তার কারপেটিং এর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারনে তা শুরু হচ্ছে না।রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে, প্রায়ই অনেক মালবাহী পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশাসহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করে এ রাস্তাটি দিয়ে।

জানিনা ঠিক কতদিন আমাদের মতো মানুষদের এ ভোগান্তি সহ্য করতে হবে। এ বিষয়ে জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারমান মিহির কান্তি রায় বলেন, কলিগ্রাম বাস স্ট্যান্ড ব্রিজ হইতে ঠাকুরের দোকান এবং ইসক ফলিয়ার বাড়ির পাসদিয়ে চান্দার বিল পর্যন্ত রাস্তার টেন্ডার আহ্বান অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবেন বলে আশা করছি। উক্ত রাস্তাটি দ্রুত কার্পেটিং এর জন্য মিহির কান্তি রায় স্থানীয় এমপি,সাবেক মন্ত্রী,লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) ফারুক খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত জানান আমার গ্রাম আমার শহর পাইলট প্রজেক্টের আওতায় জলিরপাড় ইউনিয়নের রাস্তাগুলোসহ প্রতিটি রাস্তা,মসজিদ, মন্দির,গির্জা, পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা,হাট ঘাট, ছোট বড় ব্রিজ, কালভার্ট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য উক্ত প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলিরপাড় ইউনিয়ন হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত আমার গ্রাম আমার শহরে রূপান্তরিত হবে এবং একটি আধুনিক ইউনিয়নের মানুষ হিসেবে সকল প্রকারের সুযোগ সুবিধা পাবেন। উক্ত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় এমপি,সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মাদ ফারুক খান মহোদয় জোরালো ভূমিকা রেখে চলছেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *