জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা হলো না গোপালগঞ্জ বাসীরও

গোপালগঞ্জে মধুমতি সহ বেশ কয়েকটা নদির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জেলার ২০টি গ্রামের সকল মানুষই পানি বন্ধি হয়ে জীবন যাপন করছে। জেলার শৈলদাহ, বাঘিয়ার এবং ঘাঘর নদীর পানি বৃদ্ধিতে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার ৪২ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটা গ্রাম এখন পানি বন্ধি অবস্হায়। পানি বৃদ্ধির কারনে ফসলের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে, সবজি চাষিদের অবস্হা খুবই খারাপ, গাছের গোরায় পানি আসায় অধিকাংশ গাছ মরে যাচ্ছে।

এদিকে দেশের মানুষের সবজির চাহিদা বেশি থাকায় দামের দিক থেকেও হেনেস্থ হচ্ছে সাধারন ক্রেতারা। এই উপজেলায় অধিকাংশ স্থানে মাছের চাষ করা হয়, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছ চাষের পুকুর, ঘের তলিয়ে গেছে। তাতে মৎস্য চাষিদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মাছ আটকে রাখার অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না মৎস্য চাষীদের। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও মানুদের কাছ থেকে ধার দেনা করে তাদের এসব কাজে নিয়োজিত হয়, বন্যায় এতো বড় ক্ষতি হওয়ায় তারা খুব চিন্তিত। কিভাবে তারা তাদের সামনের জিবন চলবে। দেশে করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থির ভিতর বন্যায় যেনো কষ্ট আরোও বাড়িয়ে দিচ্ছে দেশের মানুষদের। তাই গোপালগঞ্জবাসীর জেলা প্রশাসক(ডিসি) ম্যাডামের প্রতি আকুল আবেদন প্রশাসন যেন তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *