চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের প্রাচার সম্পাদক মহাসিন ও তার আপন ভাগ্নে কে নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, মহাসিন ও রিগানের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষত হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হয়েছে। রিগানকে তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত দিতে হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুজনকেই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। রাত ১২টার দিকে রিগানকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় মহাসিন রেজাকে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ ধরনের হামলায় হতবাক হয়েছেন এলাকার সচেতনমহল। একজন তার পিতার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়ে হামলার শিকার হলেন, অপরজন তার আত্মীয়কে দেখতে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত হলেন। হামলার শিকার রিগান কথা বলতে পারেনি। রক্তক্ষরণের কারণে তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের প্রচার সম্পাদক রিগানের মামা মহাসিন রেজা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ তুলে বলেছেন, জিম, কালাম, রাব্বি, বাদশাসহ তাদের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক চিৎলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লু। তিনি বলেন, হামলার শিকার হয়েছেন যেই দুজন তারাও যেমন আওয়ামী লীগের যারা হামলা চালিয়েছে তারাও একই আদর্শের দাবিদার। অপরাজনীতির কুফল হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় একের পর এক ঘটনা ঘটছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার বর্ণনা শোনেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস। তিনি বলেন, ঘটনার মূল কারণ জানা না গেলেও সদর থানার টহল পুলিশদল আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশের ৩টি দল অভিযান চালাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান, অন্যতম অভিযুক্ত হামলাকারী কালামের অবস্থান জানার জন্য তার মাকে থানায় নেয়া হয়েছে। ২য় পর্ব।