চুয়াডাঙ্গায় ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার।
চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক মামলা দায়েরের জটিলতা ও জরিমানা পরিশোধে ভোগান্তি কমাতে চালু করা হচ্ছে। ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম আজ বৃহস্পতিবার থেকে ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন চুয়াডাঙ্গা জেলা সহ খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে।
ট্রাফিক মামলা দায়েরের জটিলতা ও জরিমানা পরিশোধে ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজন করা হয়েছে ডিজিটাল ডিভাইস ‘ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’।
আজ বৃহস্পতিবার ২৪শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব জাহিদুল ইসলাম ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সময় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুততম সময় মামলা দায়ের করা যাবে।
একই সঙ্গে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ ও লাইনে দাঁড়ানোর বিড়ম্বনা ছাড়াই জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। ম্যানুয়াল ও সনাতন পদ্ধতিতে মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায়ের কারণে ট্রাফিক বিভাগের কর্মী ও জরিমানা দাতা-সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এ ভোগান্তি কমাতে ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম’ নামক প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ট্রাফিক বিভাগ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
এ ব্যবস্থায় মামলার কপি নিয়ে যানবাহন চালক বা মালিককে ট্রাফিক অফিসে কিংবা ব্যাংকে গিয়ে আগের মতো লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এছাড়া মামলা নিয়ে সন্দেহ ও অভিযোগও দূর হবে। মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে মেশিন থেকেই জরিমানার স্লিপ বের হয়ে আসবে, যা নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।