চিতলমারীতে স্লিপের টাকার ভাগ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত !
বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্লিপের টাকার ভাগ না দেওয়ায় সভাপতি কর্তৃক এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্চনার শিকার ওই শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর ওই সভাপতির ঔদ্ধাত্তপূর্ণ আচারণে শিক্ষক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
রবিবার বিকালে উপজেলা চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রধান শিক্ষক তারাপদ বিশ্বাস হতাশকণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার বেন্নাবাড়ী সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনি ২৬ বছর ধরে সুনামের সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার চাকুরী কালীন সময়ে ১০-১২ জন সভাপতি বদল হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সভাপতির মত অর্থলোভী সভাপতি কেউ আসেনি। সম্প্রতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে স্লিপের (বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা) ২৫ হাজার টাকা স্কুলের ব্যাংক হিসাবে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা তুলতে চেকে স্বাক্ষর চাইলে সভাপতি (এসএসসি পাশ) ও চিতলমারী সদর ইউনিয়ন সদস্য অনির্বান মন্ডল তার কাছে সাড়ে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক টাকা দিতে অস্বীকার করায় রবিবার দুপুর ২টার সময় চিতলমারী সদর বাজারে তরুন লাইব্রেরীর সামনে বসে গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করে। এর আগেও ওই সভাপতি অনির্বাণ স্লিপের টাকা তুলতে দুইবারে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বেন্নাবাড়ী সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অনির্বাণ মন্ডল জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছে তিনি কোন টাকা চাননি। এর আগেও কোন টাকা নেননি। প্রধান শিক্ষক স্কুলের জানালার গ্রিল বিক্রী করায় তার সাথে বিরোধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চিতলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক মুকুল কিশোর মজুমদার বলেন, দুইজনের মধ্যে ঝগড়াঝাড়ি ও বচসা হয়েছে। দুইজনই আমার কাছে নালিশ করেছেন। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছি।
তবে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আলী আকবর বলেন, ঘটনাটি প্রধান শিক্ষক আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। আমি ওই প্রধান শিক্ষককে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।