‘সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আমি চিতলমারী উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। চার দফায় বিশ বছরের অধিক সময় চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের খেতাবও পেয়েছি।

আমার ভাই নিহত এ্যাড. কালিদাস বড়ালও চিতলমারী উপজেলা পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণবঙ্গের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁকে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে। এখন প্রতিপক্ষরা আমাকে সরাতে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’ বুধবার (১ ফেব্রæয়ারী, ২০২৩ খ্রিঃ) বেলা ১২ টার সময় জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল এ কথাগুলো বলেন।

উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি আরও জানান, গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন মিডিয়ায় “চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী সদস্যকে জুতাপেটা করার অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এলাকার একটি কুচক্রিমহল ও প্রতিপক্ষরা তাঁর রাজনৈতিক এবং সামাজিক মর্যাদাক্ষুন্ন ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে কবিতা রানাকে ব্যবহার করেছে। ভি ডবিøউ ডি কার্ড পেতে সর্বপ্রথম একজন দুস্থ মহিলাকে অনলাইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যগণ যাচাই-বাছাই করে উপকারভোগী নিধার্রণ করেন। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোন হাত নেই। কবিতা রানা তাঁর মেয়ের মতন। কবিতা তাঁকে কাকা বলে সম্বোধন করেন। কবিতাকে জুতাপেটা ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। প্রতিবেদনে ২৩ জানুয়ারী বেলা ১১টার সময় ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওইদিন বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শহীনুজ্জামান ও চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে তাঁরা দেখতেন ও জানতেন।
চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বিষয়টি সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলাবাসির সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। #