চিতলমারীতে প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ প্রকল্প অফিসারের বিরুদ্ধে

বাগেরহাট জেলা স্টাফ রিপোর্টারঃ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কালভার্টের কাজের সিডিউল বিক্রি করে টেন্ডার করে লটারীর মাধ্যমে বন্টন করার কথা থাকলেও ৭ ভাগ টাকা নিয়ে চিতলমারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাবকে দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানো হয়েছে। মাহতাবের নামে-বেনামে লাইসেন্সের কাজগুলি করা হয়। যার মান নিম্নমানের। অথচ কাজ করার আগেই অগ্রিম বিল দেওয়া হয়। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচিতেও কমিশন নিয়ে সব বিল পরিশোধ করে দেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) সংস্কার কর্মসূচির অধীন বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে চলছে নয়ছয়।

টিআর কাবিখা/কাবিটার কাজ নামমাত্র করে চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেন। এতে বছরে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়। প্রকল্পের কাজ সময় মতো শুরু না করে অর্থবছর শেষ হওয়ার শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করে। বড় ধরনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ টাকা নিয়ে বিল পরিশোধ করেন। এমপি কোটা, মহিলা এমপির কোটা এবং উপজেলা কোটা প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই অবস্থান তৈরি করেন এবং টাকা খেয়ে নিম্ন মানের সোলার স্থাপনের সুযোগ তৈরি করে দেন বলে জানান স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করেন,গত জুলাই মাসের ২০ তারিখে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের স্মারক নং-৩৬৩ মাধ্যমে ৮৯.৫০৯ মে.টন চালের মধ্যে চার প্রকল্পের মাধ্যমে বড় বাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গুনি বড় মাদরাসা সংলগ্ন কবর স্থান, মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট বাবদ ৩৮.৩৬১ মে. টন চাল, বড়বাড়িয়া বড়গুনি খাল পুন: খনন বাবদ ২৫.৪৭৪ মে. টন চাল, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের করাত দিয়া হতে ডোবাখালী খাল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে ১২.৭৮৭ মে. টন চাল আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে। চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ঝাল ডাংগা কবি খেলার মাঠে বালু ভরাট ১২.৭৮৭ মে. টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়।

এ কাজের নামমাত্র করে বেশির ভাগ টাকা চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম ও বড়বাড়িয়ার চেয়ারম্যান মাসুদ আর তিনি আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ত্রানের যে ঘর দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের ঘর তৈরি করে টাকা আত্নসাৎ করেছেন তিনি। ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত ঢেউটিনের টাকা নিয়ে বন্টন করা হয়। এই বিষয়ে চিতলমারী উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ বলেন, প্রকল্পের কোন বিল এখনও দেয়া হয়নি। ৯ টি ব্রীজের ৮ টির কাজ শেষ হয়ে গেছে। একটি মাত্র ব্রীজের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, চিতলমারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব ৩ থেকে ৪ টা ঠিকাদারি ফার্ম এর নামে কাজ করছে। তার মধ্যে গোপালগঞ্জের জিএম ফোরকান আলী ও মুসফিক এন্টারপ্রাাইজসহ তিন-চারটি ফার্ম রয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প কর্মকর্তা আরও বলেন, শাওন মিয়ার কোনও ফাইলের বিষয় আমার জানা নেই।

দুদকে আমার বিরদ্ধে কোন অভিযোগ ছিলো না। আমি চাকুরি করি এবং আমার বউ চাকুরি করে। আমার বউ মাসে ১ লাখ টাকা বেতন পায়। আমার ভাই আমেরিকা থাকে। আমাদের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আগে ছিল না। এখন আর্থিকভাবে আমাদের পরিবার ভালো আছে। আমার দুর্নীতি করার প্রশ্নই আসে না।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *