চিতলমারীতে নির্যাতনের যন্ত্রণায় পাঁচ দিন ধরে কাতরাচ্ছে বিধবা সুচিত্রা

বাগেরহাটের চিতলমারীতে নির্যাতনের যন্ত্রণায় পাঁচ দিন ধরে কাতরাচ্ছে বিধবা সুচিত্রা হালদার (৪৩)। সে বাজারে শাক-সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিরোধপূর্ণ একটি জায়গার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তাঁকে মারধরসহ নির্মম ভাবে নির্যাতন করেছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮নং বেডে শুয়ে আহত সুচিত্রা হালদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের মৃত তপন হালদার মন্নার স্ত্রী সুচিত্রা হালদার আরও জানান, তার স্বামী অসুস্থ থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষ তাপস হালদার তাঁদের অনেক সম্পত্তি কৌশলে দখল করে নেয়। এই ব্যাপারে তার ছেলে মৃন্ময় হালদার বাদী হয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা করে। মামলা নম্বর ০৯/২০১৯। প্রায় দেড় বছর আগে তার স্বামী তপন হালদার জলে ডুবে মারা যায়। বিরোধপূর্ণ জায়গার শান্তি বজায় রাখতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি গত ০৪ জুন, ২০২০ সুনীল আমিনের মাধ্যমে মেপে সীমানা নির্ধারণও করে দেয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর, ২০২২) হঠাৎ তাপস হালদারের নেতৃত্বে তার ছেলে বুদ্ধ হালদারসহ কিছু অপরিচিত লোক এসে সুচিত্রার সীমানার গাছ কাটা শুরু করে। তখন সুচিত্রা বাধা দিলে তাকে বেধড়ক পেটানোসহ নির্মম ভাবে নির্যাতন করে বলে তিনি জানান।
সুচিত্রার ছেলে মৃন্ময় হালদার জানান, এই বিষয়ে তারা তাৎক্ষনিকভাবে থানায় গেলে তাদের জানানো হয় চিকিৎসা শেষে অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

খড়মখালী গ্রামের মৃত লালবিহারী হালদারের ছেলে তাপস হালদার তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে মোবাইলে বলেন, ‘আমি আমার ভাগের জায়গার গাছ কাটতে গেলে বিধবা সুচিত্রা আমার স্ত্রীর চুল ধরে ঝুলে পড়ে। তখন ছাড়াতে গেলে সুচিত্রা আহত হয়।’
শনিবার (১২ নভেম্বর, ২০২২) এ ব্যাপারে চিতলমারী থানা পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, তার কাছে অভিযোগ নিয়ে কেউ যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *