গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ি ও মুন্সিবাড়ির খালের উপর সেতু না থাকায় জনদুর্ভোগে ২ হাজার মানুষ

 গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা প্রসন্নপুর বনগ্রাম নদীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের প্রসন্নপুর গ্রাম সহ একাধিক গ্রামের মানুষ।

নৌকায় নদী পার হতে দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাবাসীর অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই স্থায়ী সমাধানে একটি সেতু তাদের চাই। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে,বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রসন্নপুর গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নদীর ওপর সেতু না থাকায় এতদিন নৌকায় পারাপার হতে অসন্নপুর গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ গোহালা ইউনিয়নের অন্তত দুই হাজার মানুষ।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। সম্প্রতি নিজেদের অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরি করেছেন এলাকাবাসী। তবে, বর্ষা মৌসুমে তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা জানান, দীর্ঘ ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হবে পাকা সেতু নির্মাণ হলে। বৈরী আবহাওয়ায় নদী পার হতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে না।

এ কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে না বলে মনে করেন শিক্ষকরা। উপজেলার প্রসন্নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ও এলাকাবাসী জানান এই নদীর উপরে ব্রিজ না থাকায় এলাকার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে পারছে না। এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি।

গোহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাতুব্বর দাবি করে বলেন প্রসন্নপুর উত্তরপাড়ায় উক্ত ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করার লক্ষ্যে আমাদের এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল রাশেদী জানান উক্ত এলাকার সম্মানিত জনগণ ব্রীজটির বিষয়ে প্রস্তাবনা মাননীয় এমপি মুহাম্মাদ ফারুক খান মহোদয়কে অবগত পূর্বক,আমার নিকট ডিও লেটার নিয়ে আসলে আমি উক্ত ব্রিজ টি নির্মাণের ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করব। উল্লেখ্য উক্ত স্থানে ব্রীজ না থাকায় এক প্রসূতি মায়ের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *