আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মুকুল বোসের প্রতি দল ও সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লাল-সবুজের লাখো শহীদদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো কফিনে করে মুকুল বোসের মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের,গোহালা টি,সি,এ,এল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আনা হয়।
প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসকে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর মরহুমের নিজ ইউনিয়নে মরদেহ নিয়ে আসলে ফারুক খান এমপি এর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মুকুল বোসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপজেলা আওয়ামীলী সভাপতি এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধ আশ্রাব আলী আশু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সিকদার, সিরাজুল ইসলাম মিয়া,সাইদুর রহমান টুটুল, পরিচালক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আশরাফুল আলম পপলু।
এমপি এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় গোহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এম মোসারফ মোল্যা, সিনিয়র সহসভাপতি ও গোহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাতুব্বার,ওহিদুল আলম ডাবলু,সাধারন সাধারন সম্পাদক শেখ ইকবাল,বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক গাজি,সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনসার্চ,সাবইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সাধারণ মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় গোহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাতুব্বার বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের ’৭৫ পরবর্তী সময়ের ভূমিকা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তাঁর কর্ম আওয়ামী লীগের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নেতা ছিলেন মুকুল বোস। দলের জন্য মুকুল বোসের ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁকে আওয়ামী লীগ আজীবন স্মরণ রাখবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুকুল বোসের মরদেহ গোহালা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরে ঢাকার রাজারবাগের মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান মুকুল বোস। রোববার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয়।