গোপালগঞ্জে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মোহাম্মদ আলী সুমন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মোহাম্মদ আলী সুমন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোমারবাড়ি গ্রামের রওশন আলী মাস্টারের ছেলে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল অনুমান সোয়া ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক ফারুক ও রনি সাহার নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল শহরের বেদগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
এসময় তার সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগের মধ্য থেকে ওই গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নিহাদ আদনান তাইয়ান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনায় গোপালগঞ্জ জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রনে রাখতে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা পিপিএম মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মাদক উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার এ অভিযানের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা পুলিশ ১৫ কেজি গাঁজাসহ মোহাম্মদ আলী সুমন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। সে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গাঁজা নিয়ে পরিবহন করে গোপালগঞ্জে আসছেন এমন গোপান সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম শহরের বেদগ্রাম বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা এনে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সে তা সরবরাহ করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান আরো বলেন, জেলার মোট মামলার এক তৃতীয়াংশই মাদকের মামলা। এরমধ্যে ৮০ ভাগ মামলায় চূড়ান্ত বিচারে আসামীরা শাস্তি পেয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) আবু তাহের দেওয়ান সহ পুলিশ কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।