গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মূলভবন হস্তান্তর ও বঙ্গমাতা পাঠাগারের শুভ উদ্বোধন
গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মূল ভবন (হাসপাতাল ভবন) আনুষ্ঠানিক ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সম্মেলন কক্ষে উৎসব মুখর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃ/দাঃ) কাশেফ আমিনুর রহমান চক্ষু হাতপাতালের মূল ভবন হাসপাতাল কতৃর্পক্ষকে বুঝিয়ে দেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা.নাহিদ ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা এবং কমিউনিটি স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কলসালটেন্ট (চক্ষু) এ.এস.এম কাদিরের সঞ্চালনায় ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্যা, উপ-পরিচালক ডা.আনোয়ারুর রউফ, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষ্মী রানী সরকার। এ সময় গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা, অত্র হাসপাতালের সকল চিকিৎক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের সাথে নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় স্থাপিত বঙ্গমাতা পাঠাগারের শুভ উদ্বোধন করেন।
গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃ/দাঃ) কাশেফ আমিনুর রহমান বলেন ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ঢাকা খুলনা মহা—সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে ১৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ২০১৬—১৭ অর্থবছরে ১৪৩ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় প্রতিষ্ঠানটি যার কার্যাদেশ পেয়েছি ২০১০ সালের জুলাই মাসে। এবং ২০১৪ সালের ৩০ জুন কাজ সমাপ্ত হয়। পরে ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। তারপর হাসপাতালের মূল ভবনে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু হলেও ভবন নিমার্নে ত্রুটির কারণে গণপূর্ত বিভাগ দীর্ঘ ৭ বছর পর হাসপাতাল কতৃর্পক্ষকে মূল ভবনটি হস্তান্তর করে।