গোপালগঞ্জে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী সিকুর কবর ভাংচুর ও জমি দখলের প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে ৩ নারী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধায় সদর উপজেলার চরমানিকদাহ মধ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধার ছেলের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগম (৪০) ও ভাগ্নি কলেজ ছাত্রী কুসুম বেগম (১৫)। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই জয়নাল মোল্লা (৭০) বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন নিজ পৈত্রিক জমির উপর স্থাপিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী সিকু মোল্লার কবর ভাংচুর করে। এরআগে ওইদিন দুপুরে তারা মুক্তিযোদ্ধার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে।শুক্রবার বিকেলে এসব ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় সিদ্দিক মোল্লা, তার ছেলে শাহীন মোল্লা, হীরা মোল্লা ও তার দলীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে জাকির হোসেনের স্ত্রী সেলিনা বেগম ও ভাগ্নি কলেজ ছাত্রী কুসুম বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। মুক্তিযোদ্ধার জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে তারা এ হামলা চালায়।এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সিদ্দিক মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিগত ৮৪ সাল থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আরেকে পক্ষের মামলা মোকাদ্দমা চলছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এস,আই মারিদুল ইসলাম বলেন দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয় হয়েছে। দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে।