গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মধুমতি নদীর শাখা হয়ে জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা, থানাপাড়া ও মিয়াপাড়ার মধ্য দিয়ে এঁকে-বেঁকে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি বাওড়ে গিয়ে সংযোগ স্থাপনকারী অতীতের সরব বৈরাগী খালটি আজ ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ হারাতে বসেছে। কারণ হিসেবে খালের ওপরে অপরিকল্পিত একাধিক সেতু নির্মাণ সহ খাল সংলগ্ন বসবাসকারীদের ময়লা-আবর্জনা ফেলা, ভূমি দস্যুদের খাল দখলের দৌরাত্ম সহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকেই দায়ী করলেন সচেতন মহল। ওইখালে এখন আর আগের মতো পানির প্রবাহ না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানা জমে বর্তমানে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানি পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেই সাথে মশার উপদ্রব বাড়াচ্ছে, এতে পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
বৈরাগী খাল সংলগ্ন এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গোপালগঞ্জ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায়, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে, পৌরসভা ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক সহযোগিতায় প্রায়বিলুপ্ত এ খালটি পুনঃ খনন করে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণি খালের সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে শহরের মিয়াপাড়া জামে মসজিদের কাছে বৈরাগী খালপাড়ে সরেজমিনে গিয়ে খালের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সেতু সহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। পরে জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকে বৈরাগী খালের হারিয়ে যাওয়া পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী এ বিষয়ে বলেন, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড.শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি’র দিক নির্দেশনায় ঐতিহ্যবাহী বৈরাগী খালের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে মধুমতি নদী হতে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণির বাওড় পর্যন্ত পানি প্রবাহের গতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে চলেছেন।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইলিয়াছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. উসমান গনি, সহকারী কমিশনার মো. মামুন খান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর শাহীনুর রহমান, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে) এর সভাপতি সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম, সাংবাদিক আহমেদ আলী খান, নুতন শেখ, কে এম শফিকুর রহমান, দুলাল বিশ্বাস, কে এম সাইফুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. আতিকুর রহমান পিটু, মিয়াপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নুর রহমান হিটু, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে. আর. রেজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খন্দকার রহিস রেজা, জেলায় কর্মরত অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।