গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়নের ঘর থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী তহশীলদার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত প্রতিবন্ধী, ভূমিহীন, অসহায় ও হতদরিদ্র প্রায় ৩০টি পরিবারকে বিনা নোটিশে জোরপূর্বক বের করে সেই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের সহকারী এক তহশীলদার ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। পরিবার প্রতি ২০ হাজার টাকা উৎকোচ না দেওয়ায় ওই পরিবার গুলোর সাথে এ ধরনের অমানবিক আচরণ করেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকালে ওই ইউনিয়নের সহকারী তহশীলদার মো. কাউসার আলী ফকির, ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশার খাঁ, দফাদার মোবারক খাঁ, চৌকিদার মাজেদ সরদার সহ ৩০/৪০ জনের একটি দল মধুপুর গ্রামে এসে আশ্রয়ন প্রকল্পের ওই ঘরগুলোতে বসবাসরত প্রায় ৩০টি পরিবারের
নিকট ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে না পেয়ে আমাদেরকে ঘর থেকে জোর করে বের করে দেন। প্রতিবাদ করায় তাদের গায়ে হাত দেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। আবার ৩/৪টি পরিবার উৎকোচের বিনিময়ে পুনরায় তাদের ঘরের চাবি ফেরত নেন বলে জানান তারা।
এদিকে তালাবদ্ধ থাকায় ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারগুলো ঘরে ঢুকতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা তাদের বসতঘর ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো একত্রিত হয়ে আজ শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল মন্ডলকে বিষয়টি জানান। উজ্জল মন্ডল বিষয়টি শুনে গভীর
দু্ঃখ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি আগামীকাল রোববার (৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগীদের কথা শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজীর সাথে আমাদের প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সহকারী তহশীলদার কিছু করেছে কি-না আমার তা জানা নেই।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত সহকারী তহশীলদার মো. কাউসার আলী ফকিরের বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত
মুঠোফোনে….৪৪৭ এবং ….০৭৮ নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।