গতকাল রাত আনুমানিক রাত ১১টা ৩০ মিনিটে গোপালগঞ্জের বোরাশী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে জানা যায়, গাড়িটির মলিক গোপালগঞ্জ জেলা উকিল বারের সিনিয়র এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ্ আশিক জামান (উপল)। মোঃ জাকির হোসেন গাড়িটির চালক হিসাবে নিযুক্ত ছিল। ঘটনার দিন মালিককে ব্যাংক পাড়ার বাসায় নামিয়ে দিয়ে, চালক মোঃ জকির হোসেন তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে বাঁশবাড়িয়া মসজিদের সামনে পৌছালে, রাস্তার পাশে বসে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
এই হামলার ব্যাপারে গাড়িটির চালক জাকির হোসেন গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি আমার মালিককে বাসায় নামিয়ে দিয়ে, বাসায় আশার পথে বাঁশবাড়িয়া মসজিদ এর সামনে আসলে, লিচু শেখ, পিতা মৃত-ছালু শেখ, গাড়ির গতি রোধ করে, রাস্তার পাশে ওত পেতে থাকা আনিস শেখ আমার সামনের গøাসে ইট দিয়া আঘাত করলে আমি গাড়ি থামিয়ে দেই। মিন্টু শেখ, পিতা- সামসু শেখ আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গামছা দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে বেধরক মারপিট করতে থাকে। মিলন শেখ, পিতা- শামসু শেখ আমার গাড়ির পিছনের গøাস ভেঙ্গে ফেলে। আনিস শেখ আমার গলায় রামদা ধরে মেরে ফেলার হুমকী দেয় এবং আমার গাড়িতে থাকা ১৩৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মুখে মুখোস পরা আরও ৪/৫ জন আমার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে গেলে, আমি তাদের হাত পা জড়িয়ে মিনতী করি, তারপর সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে ননী চেয়ারম্যান তোর জমি নিয়ে যে শালিস করে দিয়েছে এর বাইরে কোন কথা বলবিনা। জাকির হোসেন আরও বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার জমি নিয়ে ওদের সাথে বিরোধ হয়েছিল। বোড়াশীর ননী চেয়ারম্যান আমার জমি, আমার উপর হামলা কারীদের অন্যায় ভাবে ভাগা-ভাগী করে দিয়েছিল।
আমার উপর হামলার আগে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা করে, আমার বাড়ির দেওয়ালে আমার বাবার মুক্তি যোদ্ধার নেমপ্লেট ভেঙ্গে ফেলে। বীর মুক্তি যোদ্ধা জাফর শেখ আমার বাবা, আমার বাবা এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। আমাদের উপর বার বার নির্যাতন হামলা এ সরকারের আমলেও কি হতে থাকবে, আমরা কি এর বিচার পাবোনা। এ সব কারনেই সন্ত্রসীরা আমার উপর হামলা করছে। হামলা গাড়ি ভাংচুর ও টাকা ছিনতাই ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।