জমে উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এ নির্বাচনে কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে পাচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে সাবেক গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, বক প্রতীক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, হাতি প্রতীক এস এল আর কলেজের সাবেক ভিপি ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন, তালা প্রতীক সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন , উটপাখি প্রতীক মুজিবুর রহমান শেখ ।
সততার সঙ্গে কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডে উন্নয়নে কাজ করবে এমন একজন প্রার্থীকে বেছে নিতে চান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের ভোটাররা । প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা, তবে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু ও কামরুল ইসলাম বাদল এবং ভিপি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন প্রার্থীকে বেশি দেখা যাচ্ছে মাঠে। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডে ৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৪ জন সংরক্ষিত (নারী) সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোটালীপাড়া ৪নং ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে প্রার্থীদের প্রচারণার কাজ চলছে। আবার প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় ঝুলছে তাদের ছবিযুক্ত পোস্টার।
৪ নং ওয়ার্ডের সব ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সদস্য প্রার্থীরা। একদিকে সদস্য প্রার্থী ( টিউবওয়েল প্রতীক) সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু নেতাকর্মী ও আমজনতাকে নিয়ে নানা স্থানে উঠান বৈঠক ও বাজার, পাড়া-মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। অপরদিকে ( বক প্রতীক) কামরুল ইসলাম বাদল, ( হাতি প্রতীক) চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটাররা বলেন, এর আগের নির্বাচনগুলোও দেখেছি। অনেকেই নির্বাচনের আগে নানা ধরনের আশ্বাস দেন কিন্তু ভোটে জয় পাওয়ার পর আর কোনো খোঁজ-খবর থাকে না। সেজন্য এবার বুঝে শুনে একজন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করবো।
ভোটাররা আরো বলেন, কোনো প্রার্থীর কাছে কোনো সময় টাকা পয়সার জন্য যাবো না, তবে যেই নির্বাচিত হোক তার কাছে একটাই প্রত্যাশা তারা যেন কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের কথা ভেবে কাজ করেন। আর আমাদের যেন একটি মডেল ওয়ার্ড উপহার দেয়।
গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, আপাতত খুবই ভালোভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছি। কর্মীরা আমাকে জয়ী করার জন্য কাজ করছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো। সাবেক কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, কোটালীপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য অবশ্যই ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। এর আগে আমি সুনামের সাথে কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। সাবেক ভিপি ও কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তরুণ প্রজন্মের অহংকার চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন বলেন- প্রতিটি ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তিনি ভোট প্রার্থনা করছেন, জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী। তিনি আরো বলেন -সমাজে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা রয়েছে, কিন্তু দিন শেষে জনপ্রতিনিধিরাই এ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তাই সমাজের এই নেতিবাচক ধারনা পরিবর্তন করতে তিনি নির্বাচনে এসেছেন।