গোপালগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার পাচুড়িয়া খাল আবমুক্তি করার লক্ষে চলছে বন্ধ খালের সামনে থাকা বসত বাড়ি ও দোকান পাট উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে গোপালগঞ্জ জেলা ভুমি কর্মকর্তা। পাচুড়িয়া খাল অবমুক্ত করার সামনে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছ ব্যাক্তি মালিকানা বাড়ি সহ নানা প্রতিষ্ঠান। সব কিছুই ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে কোন সরকারি নোটিশ ছাড়াই, কোন সময় সীমা বা কোন নির্দেশনা ছাড়াই ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে বাড়িঘর ভোগান্তিতে পড়ছে ব্যাবসায়ী ও সাধারন মানুষ।
গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাচুড়িয় খাল অবমুক্ত করে মধুমতি নদির সাথে মিলিত করে দেওয়ার সরকারের একটি প্রশংসনিয় উদ্দ্যেগ। দির্ঘ্য দিন যাবৎ পাচুড়িয়া খালে মুখ বন্ধ থাকায়, খালের দুই পাশের্^ গড়ে উঠেছে ঘর বাড়ি সহ নানা ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এই সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু আছে সরকারের খাস যায়গায় বাকি সব ব্যাক্তি মালিকানাধীন। বেশির ভাগ যায়গা দখল বসতবাড়ি করে আছে গোপালগঞ্জ ডিসি অফিসের কর্মরত কর্মচারিরা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পাচুড়িয় খালের মুখে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান করেছে পৌর সুপার মাকেট। এই মার্কেট ও গোপালগঞ্জ ডিসি অফিসে কর্মরত নাজির দেলোয়ারের একটি বহুতলা বিষিষ্ঠ ভবনের কারনে আজ এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। পৌর মার্কেট ও প্রভাবশালী নাজিরের বিল্ডিং এর কারনে খালের মুখ দিয়ে খাল বের না হয়ে খাল কাটা হচ্ছে একটু ঘুরিয়ে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বহু ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যাক্তি মালিকানাধীন বাড়িঘর ও পাচুড়িয়াবাসীর নামাজ পড়ার একমাত্র মসজিদ। চলছে ক্ষমতার লড়াই, ক্ষমতার জোরে দড়িয়ে আছে ডিসি অফিসের নাজির দেলোয়ারে কয়েক কোটি টাকার বাড়িটি। এলাকার জনমনে একটাই প্রশ্ন সামান্য নাজির হয়ে এতো টাকা কোথায় পেল। এই নাজিরের বাড়িটা সম্পূর্ন সরকারি খাস যায়গায়। তাও আবার খালের মুখে। এই বিল্ডিং গুলোর কারনে খালের মুখ দিয়ে খাল কেটে বের করা সম্ভবহচ্ছে না। যা কারনে বেশিরভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পড়েছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন এর নিজেস্ব মালিকানাধীন জায়গার মার্কেট। এ ব্যপারে প্রশিকা মানবিক উন্নয়নের কেন্দ্রিয় ব্যবস্থাপক রাশেদা বেগম বলেন, আমাদের এই যায়গাটি সম্পুর্ন তহশিল ভুক্ত। যায়গাটি প্রশিকার সম্পূর্ন দলিলিয় যায়গা। আমরা যখন শুনেছি খালের মুখ মধুমতি নদির সাথে মিলিত হবে, তক্ষনি আমরা যোগাযোগ করেছি ডিসি অফিসের সাথে। ওনারা আমাদেরকে বার বার বলেছে আপনাদেরকে ইনফরমেশন করেই যা করার করবো। কিন্তু গোপালগঞ্জের ভুমি কর্মকর্তা সহ একটি টিম এসে হঠাৎ এসে আমাদের মার্কেটের তিনটি দোকান ভেঙ্গে দেয়। দোকানের মধ্যে মালামাল থাকা অবস্থায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এতে আমরা অনেক ক্ষগ্রস্থ হয়েছি। সেক্ষেত্রে আমরা এটাকে সম্পুর্ন অযৌতুক মনে করছি। একটি গনতান্ত্রীক দেশে এটা কোনরকম হতেই পারেনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন মৌক্ষিক বা লিখিত নোটিশ আমরা পাই নাই। কোন নোটিশ পেলে আমরা আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারতাম, তাতে আমাদের ক্ষতির পরিমান কম হতো। আমরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি, আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয় গুলি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার।