গোপালগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যানের কুকীর্তির প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুলের কুকীর্তি ও প্রতারণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী অন্তু রহমান ইতি।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে তিনি
এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যানের স্ত্রী চৌধুরী অন্তু রহমান ইতি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, তিন দশকের অধিক সময় ধরে সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুলের সাথে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে আমরা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী। স্বামী সন্তানদের নিয়ে সুখেই কাটছিলো আমাদের সংসার ।
বিগত ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিবার্চিত হন সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রলোভনে একাধিক নারীর সাথে ঘনিষ্ঠতা ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, চাকুরি বানিজ্য, আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ তার নানান কুকীর্তি প্রকাশ পেতে থাকে। এ ব্যপারে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হই। সম্প্রতি একই ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যক্তা এক স্কুল শিক্ষকসহ একাধিক নারীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ছবি ও ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি ও আমার পরিবারে লোকজন বিব্রত হই। আমি এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে আমাকে মারপিট করে ও হত্যার হুমকি দেয়। আমার নিরাপত্তার জন্য আমি ঢাকার মিরপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি।
পরবর্তিতে জানতে পারি সে আমার অনুমতি ব্যতিরেকে ওই স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়ে করে সংসার করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সে এলাকার অনেক লোককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। গোবরা ইউনিয়নে একটি বিশেষ সিন্ডিকেট তৈরি করে গোটা ইউনিয়ন বাসিকে জিম্মি করে রেখেছেন। এ নিয়ে ইউনিয়ন বাসির মধ্যে চরম ক্ষোভ দানা বেধেঁ উঠেছে । ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নে কর্মকান্ডে ভিন্ন মতের লোকদের অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। দলের তৃণমুলে নেতা কর্মিরা ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারেন না। একজন অসৎ ও চরিত্রহীন লোককে আসন্ন ইউপি নিবার্চনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করে পুনরায় সংসার মুখি হলে আমি তাকে নিয়ে সংসার করবো।
সংবাদ সম্মেলনে গোবরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন চৌধুরী, শামীম চৌধুরী, বাবুল শেখ, সুমন চৌধুরী, তাজু চৌধুরী, রিয়াজ চৌধুরী, লিংকন শেখ, মঈন মুন্সি, লিখুন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।