গোপালগঞ্জে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে ঘর না দেওয়ার অভিযোগ

গোপালগঞ্জে “জমি আছে ঘর নেই” এ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ১১নং হরিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সী মকিদুজ্জামান ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন নুরু মোল্লার বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে ঘর না দেওয়া এবং উৎকোচের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, “জমি আছে ঘর নেই” এ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১১নং হরিদাসপুর ইউনিয়নে বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এ প্রকল্পের কথা বলে গ্রামের প্রায় অর্ধশত হতদরিদ্র পরিবারের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর মোল্যা(৫২), বেল্লাল মোল্লা, মাসুম মোল্লা, রুটি বিক্রেতা মাহামুদ, ইসলাম সরদার, শেফালী বেগম, ফুলি বেগম, ইনজাহার মোল্লা, ময়না বেগম, তোরাব মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত থেকে প্রতিবেদকদের নিকট এ অভিযোগ করেন। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, আমরা ঘর তো পেলাম না, সুদে লোন এনে, কিস্তি তুলে এবং সংসারের মূল্যবান জিনিস খুইয়ে এ টাকা আমরা নুরু মেম্বারের হাতে তুলে দেই। নুরু মেম্বার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাদেরকে ঘর বরাদ্দ দিবেন বলে জানালে আমরা তার কথায় বিশ্বাস করে তাকে টাকাগুলা দেই। পরে ২/৩ বছর পার হলেও সে আমাদেরকে ঘরতো দেইনি এবং এখন টাকাও ফেরত দেয় না। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ মাননীয় এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য
ইসমাইল হোসেন নুরু মোল্লার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে সে জানায়, আমি টাকা নিয়ে চেয়ারম্যানকে দিয়েছি এটা সত্য। যদি আমার ফেরত দেওয়া লাগে। আমি দিয়ে দিবো।
চেয়ারম্যান মুন্সী মকিদুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমাকে হেয় করতে আমার নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে খাগাইল, হরিদাসপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মেম্বাররা এ ধরনের সমস্যা তৈরি করেছিলো। পরবর্তীতে, আমার হস্তক্ষেপে সেগুলো মিটমাট হয়েছে। এটাও এখন জানলাম। আমি অসুস্থ বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। গোপালগঞ্জে ফিরে এ সমস্যার সমাধান করব ইনশাল্লাহ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *