গোপালগঞ্জে ইউ,পি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ।
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূ (২৭) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ (২৭) বাদি হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করে। চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।
মামলার বিবরণে জানাযায়, পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি শূন্য পদের বিপরীতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তির পর থেকে চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস আয়া পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় এবং তার বাড়ি যেতে বলে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ (২৭) চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে তাকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে বিনিময়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে জানায়। ওই সময় থেকে চাকরি প্রত্যাশি ওই নারীর বাড়িতে যাতায়াত করে চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস । ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় তার বাড়িতে গিয়ে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে।
ওই গৃহবধূর স্বামী গোবিন্দ হালদার বলেন, চেয়ারম্যান ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। তিনি আমার স্ত্রীকে আয়া পদে আবেদন করতে বলেন। এরপর থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে করতো। উপার্জনের জন্য সব সময় আমাকে বাইরে থাকতে হয়।
চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীকে চাকরি দিবে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। আমি ও আমার স্ত্রী আজ গোপালগঞ্জ আদালতে এসে মামলা করেছি। আদালতে আসার পর ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠিয়েছে মামলা করতে বাধা দিতে। আমি চেয়ারম্যানের সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস বলেন, আজ সকালে জেনেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমি চেয়েছিলাম স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে, কিছু লোক তাদের মামলা করতে উসকানি দিয়েছে। আমি মামলায় বাধা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠাইনি। তাকে পাঠানো হয়েছিলো বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য