গোপালগঞ্জে অনুমোদন বিহীন চলছে বিএনপি নেতার ভাইয়ের ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার প্রান কেন্দ্র স্বর্ণ পট্টি ও মিয়াপাড়ার মোড়ে ৪ বছর ধরে বিএনপি নেতা ইলিয়াস শেখের ভাই কামাল শেখ অনুমোদন বিহীন ভাবে ব্যাক্তিগত প্রভাব বিস্তার করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শেভরন ক্লিনিক ও মধুমতি ডায়াগনষ্টিক নামের ২ টি সেবা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছে। প্রভাবশালী কামাল শেখ কয়েক বছর পূর্বে বাংদেশ নৌবাহিনী থেকে বিভিন্ন অনিয়ম করার দায়ে চাকুরিচ্যুত হয়। এছাড়াও তিনি বর্তমানে বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছথেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক কামাল শেখ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বনগ্ৰাম গ্ৰামের মৃত্য ইউনুচ শেখের ছেলে। অনুমোদন বিহীন ভাবে এধরনের সেবা প্রতিষ্ঠান চালানোর কারনে যেমন বাংদেশ সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে পাশাপাশি সেবা গ্ৰহিতারা প্রতারিত হওয়া সহ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন দপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান ২ টি সরাসরি পরিদর্শন করা হয়েছে এবং নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে কি কারনে এখনো এই অবৈধ্য ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুটি বন্ধ করা হচ্ছেনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালগঞ্জের একাধিক অনুমোদিত ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রোপাইটরগন জানিয়েছে অবৈধ শেভরন ক্লিনিক ও মধুমতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোন বৈধ সনদধারী টেকনিশিয়ান, ডাক্তার ও নার্স নেই। এবিষয়ে সিভিল সার্জন নেওয়াজ মোহাম্মদ বলেন, শেভরন ক্লিনিক ও মধুমতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সম্পুর্ণ অবৈধ, দির্ঘ ৪ বছর ধরে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছে। ওই অবৈধ প্রতিষ্ঠান দুইটির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহন করার জন্য জেলা প্রশাসকে চিঠি দিয়েছি, অজানা কারনে জেলা প্রশাসক এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্ৰহন করেনি। এবিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসকের মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।