গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কুশলি গ্রামের আহাদ শেখ ও তার সঙ্ঘবদ্ধ চরেক্র প্রতারনার শিকার স্বামীহারা বোন জাহেদা বেগম
প্রতারক ভাইয়ের খপ্পরে পড়ে ২৮ লক্ষ টাকা ও বিধবা ভাতার বই হারিয়ে পরের বাসায় কাজ করে দিন কাটাচ্ছে জাহেদা বেগম। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চর-কুশলি গ্রামের আহাদ শেখ, আবু জদ্দা সহ আরও ২/৩ জন মিলে এ ঘটনাটি ঘটায়।
জানা যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গত ১ বছর পূর্বে জাহেদা বেগমের স্বামীর সম্পত্তির জমি, তার আপন ছোট ভাই আহাদ শেখ মিথ্যা প্ররোচনায় বিক্রয় করেন জাহেদা বেগম। জমি বিক্রয়ের সম্পুর্ন টাকা আহাদ শেখ, আবু জদ্দা নামক একজন কে দিয়ে ব্যাবসা করাবে বলে বোনকে জানায়। সহজ- সরল জাহেদা সব টাকা বিশ^াস করে তার শেষ সম্বল ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।
আহাদ শেখ তার বোনকে বলেন আবু জদ্দা এই টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে মাসে মাসে কিছু লাভ দেবে, যা দিয়ে তুমি ভালো ভাবে খেয়ে পরে থাকতে পারবে। কিন্তু টাকা নেবার পর থেকে তারা জাহেদা বেগমের সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে। টাকা তো দুরের কথা, তার আপন ভাই আহাদ শেখ ঘর থেকে মারধর করে বের করে দেয়। আভাবের তাড়নায় জাহেদা বেগম এখন মানুষের বাড়িতে কাজ করে দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আবু জদ্দা সাথে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আহাদ শেখের সাথে আমার সম্পর্ক আমার দোকানে আসা যাওয়া নিয়ে মামা-ভাগীনা। আমি একটা বিপদে পড়ে তার কাছে টাকা ধার চাই। আহাদ মামা আমাকে বলেন আমার একটা সমস্যা আছে গোপালগঞ্জ যেতে। আমার বোনের একটি জমি বিক্রি হবে ওখান থেকে তোমাকে টাকাটা দেওয়া হবে তুমি আমার বোন ও বৌ এর সাথে গোপালগঞ্জ যাও জমি বিক্রির টাকাটা ব্যাংকে রেখে,পরে সবাই মিলে বসে তোমাকে টাকাটা দিব। পরে আমাকে দুই বারে ২ লক্ষ টাকা আহাদ মামা দেন, যার বিনিময়ে আমি ব্যাবসায়ের লাভের অংশ থেকে মাসে ৫ হাজার টাকা জাহেদা বেগমকে দিতে রাজি হই।
আহাদ শেখের কাছে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বোনের নিকট হতে টাকাটা নিয়ে আমি আবু জদ্দা কে দিয়েছি, বিনিময়ে আমার বোনকে আবু জদ্দা আমার বোনকে মাসে ৫ হাজার টাকা লাভ দিবে। আবু জদ্দার কাছ থেকে আমি চেক ও স্টাম্প রেখে টাকাটা দিয়েছি। আবু জদ্দা লাভের টাকাটা না দেওয়ায় আমি চেক ডিজওনার করি। তার পরও আমার বোন আমাকে অবিশ^াস করে এবং বিভিন্ন লোকের কাছে আমার বদনাম করে। সে এই ব্যাপারে সবাইকে জানাযানি করেছে, আমার মান সন্মান নষ্ঠ করছে । এই কারনেই ওকে আমি এক টাকাও দিবো না। সব টাকা সালিশ, মাতবরদের ও কোর্টে খরচ করবো, আমার বোনকে দেবো না।
এ ব্যাপারে জাহেদা বেগম গনমাধ্যম কর্মিদেরকে বলেন, আমার ভাইয়ের ইশারায় সব কিছু হয়েছে। আমি আবু জদ্দাকে চিনিনা, হামিদুল গাজী,আলিম উকিল, কাউকেই চিনিনা। জমি বিক্রি থেকে শুরু করে ব্যাংকে টাকা রাখা ও উঠানো সকল কাজই আহাদ শেখ করেছে। ভাইয়ের উপর বিশ^াস করে আমি ভুল করেছি। এখন আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি। জাহেদা বেগম আরও বলেন আমার ভাই ও ভাইয়ের বৌ আমার কাছে থাকা ৩ জোড়া স্বর্নের কানের দুল, , ব্যাংকের চেক বই, বিধবা ভাতার বই সহ আরও সকল কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেয়। এবং মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপাারে আরও গভিরে গেলে জানা যায়, জাহেদা বেগমের জমি বিক্রির জন্য সহায়তা করেন আলিম উকিল কিন্তু আশ্চার্য হলেও সত্য যে, উকালতি পাশ না করেও সে উকিল পরিচয় দেয়। জাহেদা বেগম কে ব্যাংক ও দলিলে স্বাক্ষর করার জন্য সাহায্যে করে হামিদুল গাজী, আসলে জাহেদা বেগম নিজের নাম লিখতে জানেনা। রেজিস্ট্রি অফিস থেকে শুরু করে ব্যাংক লেনদেন সর্বশেষ পর্যন্ত আবু জদ্দা, আহাদের স্ত্রী ও্ আহাদ শেখ উপস্থিত ছিলেন। উপরোক্ত সকল ব্যাক্তি একত্রিত হয়ে জাহেদা বেগমকে ঠকিয়েছে। এদেরই কারনে তিনি আজ সহায় সম্পত্তি হারিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে জীবন বাচাঁনো জন্য যুদ্ধ করছে।
জাহেদা বেগমের ব্যাপারে কেউ কোন পদক্ষেপ নিতে গেলে আহাদ শেখ, উকিল পরিচয় ধারি আলিম মোহরি মামলা করে দেবে বলে হুমকী দেয়। মামলার ভয়ে কেউ জাহেদা বেগমের সাহায্য করতে পারে না। এ ব্যাপারে উপরোক্ত সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জাহেদা বেগম।