গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে ওঠার প্রতিযোগিতায় হাজারো মানুষের ভীড়।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি তেলমাখা কলাগাছ বেয়ে ওঠার প্রতিযোগিতা। স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন হেল্প লাইন সোসাইটির ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এমন আয়োজন করা হয়। আর এমন আয়োজনে খুশি দর্শনার্থীরাও। দেশিয় এ খেলাটি ধারাবাহিকভাবে আয়োজনের প্রতিশ্রুতি আয়োজক কমিটির। হেল্প লাইন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও অনুষ্ঠানের আয়োজক ডাঃআশীষ কুমার পান্ডে বলেন,
লাঠিখেলা, হা-ডু-ডু, নৌকাবাইচ, ভেলাবাইচসহ বিভিন্ন দেশিয় খেলা বাংলার কৃষ্টি কালচারের সাথে মিশে রয়েছে। কিন্তু গ্রাম থেকে শহর আর নগরায়নের ফলে দেশিয় খেলাগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্ম এখন জানেই না এসব খেলাগুলোর নাম। তবে দেশিয় এসব খেলা আর সংস্কৃতি ধরে রাখতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে আয়োজন করা হয় গ্রাম-বাংলার তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে ওঠা প্রতিযোগিতা। কালিকাবাড়ি দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে দু’টি বিশালাকৃতির কলাগাছ স্থাপন করা হয়। পরে সেই কালাগাছ জুড়ে মাখানো হয় তেল। এলাকার তরুণ ১৫ জন প্রতিযোগি চেষ্টা করেন তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে উপরে ওঠার। কিন্তু কিছু দূর উপরে উঠলেও নেমে আসতে হয় নিচে। প্রতিযোগিদের এমন বার বার চেষ্টায় আনন্দ দেয় দর্শনার্থীদের। এ প্রতিয়োগিতা দেখতে কালিকাবাড়ি, ভাঙ্গারহাট, রাধাগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের শিশুসহ সহস্রাধিক নানা বয়সের দর্শনার্থী ভীড় করে। হাততালি আর হর্ষধ্বনি দিয়ে উৎসাহ দেন প্রতিযোগিদের। আগামীতেও এমন আয়োজনের দাবি দর্শনার্থীদের ।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুশি তরুণরা। তারা জানায় তেলমাখা কলাগাছে বেয়ে ওঠা অনেক কষ্ট সাধ্যের ব্যাপার। বিজয়ী হতে পেরে খুশি।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী
তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে ওঠা প্রতিযোগিতায় ৪২ ইঞ্চি উপরে উঠে পায়েল পান্ডে প্রথম, ৪১ ইঞ্চি উপরে উঠে রতন পান্ডে দ্বিতীয় ৪০ ইঞ্চি উপরে উঠে দিপঙ্কর পান্ডে তৃতীয় হন। তাদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন আয়োজন কমিটির সদস্যরা। আগামীতেও এমন আয়োজন করা হবে বলে জানান তারা।
কমিটির সদস্য।
যুব সমাজকে মোবাইল মাদক আসক্তি থেকে রক্ষায় প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে এ খেলা আয়োজনের দাবি ক্রীড়ানুরাগিদের।