গফরগাঁওয়ে প্রবাসীকে পিটিয়ে হত‍্যা

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পিটিয়ে এক প্রবাসীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম শারফুল ঢালী (৪৫), তিনি দীর্ঘদিন লেবাননে থাকার পর দেশে ফিরেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামে। মারধরে গুরুতর আহত শারফুল বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তার বাবা, মা ও ছোটভাই পলাতক রয়েছেন। প্রবাসীকে মারপিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ওসি রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, চাকুয়া গ্রামের ইসহাক ঢালীর ছেলে শারফুল দীর্ঘ আট বছর লেবাননে ছিলেন। সেখানে ভালো বেতনে চাকরি করতেন। গত ছয় মাস আগে তিনি দেশে ফিরেন।

প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় আয়-রোজগারের সমস্ত টাকা দেশে তিনি বাবার নামে পাঠিয়েছেন। দেশে ফেরতের পর তার বাবা তাকে জমানো টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি হাত খরচের টাকাও শারফুল ঢালী বাবার কাছে চেয়ে পেতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সমস্যা চলছিল। বুধবার সকালে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবা ইসহাক ঢালী, মা হোসনে আরা, ছোটভাই আশরাফুল ঢালী মিলে লোহার রড ও শাবল দিয়ে শারফুল ঢালীর মাথা, পা ও বুকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন এবং অর্ধমৃত অবস্থায় বসতঘরের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এসময় শারফুল ঢালীর চিৎকারে তার চাচা-চাচিসহ এলাকাবাসী উদ্ধারে এগিয়ে আসেন।

তবে ইসহাক ঢালী, হোসনে আরা ও আশরাফুল ঢালী রড-শাবল-রামদা নিয়ে তাদের তাড়া করেন। পরে শারফুল ঢালীর চাচা নূরুল ইসলাম ঢালী. মো. ইসমাইল ঢালী ও চাচি নাছিমা খাতুন স্থানীয় ইউপি (নিগুয়ারি) চেয়ারম্যান শেখ শাহাবুদ্দিনকে জানান। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শারফুল ঢালীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে শারফুল মারা যান। ওসি রাশেদুজ্জামান আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনও মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত বাবা, মা ও ছোটভাইকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *