কোটালীপাড়ায় পোল্ট্রি ব্যবসায় লোকসানের মুখে নিঃস্ব শরিফুল


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পোল্ট্রি ব্যবসায় লোকসানের মুখে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শরিফুল মোল্লা। তিনি অনেক স্বপ্ন নিয়ে লাভের আসায় প্রথমে ৮ লক্ষ টাকা ব্যায় করে পল্ট্রি ব্যাবসা শুরু করেন এর মধ্যে দুইহাজার পিচ মুরগী মারা য়াওয়ায় ৪ লক্ষ টাকা এবং ঘুর্ণিঝড় অশণির আঘাতে দুইটি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে আরো ৩ লক্ষ টাকা লোকসান দেখা দিলে সেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে মৎস্য ঘের লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ আরোম্ভ করেন সে ব্যাবসায় ও চারলক্ষ টাকা লোকসান দেখা দিলে ঘুরে দারানোর আসায় পুনরায় আবার পাচঁলক্ষ টাকা খরচ করে গরুর খামার নির্মান করে ৯ লক্ষ টাকার গরু ক্রয় করে ব্যাবসা শুরু করলে তাতে ৪ লক্ষ টাকা লোকসান এবং ঘুর্ণিঝড় অশণির আঘাতে খামারটি ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে আরো পাচঁলক্ষ টাকার লোকসান হয়।
কোন ব্যাবসাতেই সফলতা আসেনি তার শুধু লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখতে পারেনি শরিফুল। বিধি বাম হওয়ায় এবং পল্ট্রি ব্যাবসায়ীদের বাকি লেনদেনের ফলে স্বর্বস্ব হারিয়ে শরিফুল এখন নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জিবনযাপন করছেন। শরিফুল মোল্লা উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বুরুয়াবাড়ী গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে। শরিফুল মোল্লা বলেন লাভের আসায় অনেক স্বপ্ন নিয়ে ২০১৩ সালে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রথমে চারটি ফার্ম ও পরে পাচঁটি পল্ট্রি ফার্ম নির্মান করে আটাশীবাড়ি গ্রামে ব্যাবসা শুরু করি এর পর সমানে সমানেই চলছিলো ব্যাবসা কিন্তু ২০১৯-২০২০ সাল থেকে মহামারি করোনা শুরু হলে দুইহাজার মুরগী মরে গিয়ে চারলক্ষ টাকা লোকসান হয় এর পর থেকে ব্যাবসায় লোকসান কাটিয়ে আর লাভের মুখ দেখতে পারি নাই এই লোকসানের মুখে আবার ঘুর্ণিঝড় অশণির কবলে পরে দুইটা ফার্ম বিদ্ধস্ত হয়ে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।
পরবর্তিতে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে গরুর খামার তৈরি করে ৯ লক্ষ টাকার গরু ক্রয় করে ব্যাবসা শুরু করি করোনার কারণে সেখানে ও প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। এর পর দুইলক্ষ টাকা দিয়ে ৮ টি মৎস্য ঘের লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ আরোম্ভ করি সেখানে ও চারলক্ষ টাকা লোকসান হয় সব মিলিয়ে আমি এখন ৫০ লক্ষ টাকার লোকসানে আছি। এসব টাকা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করা, এর মধ্যে আশা সংস্থার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ,অগ্রনি ব্যাংক থেকে একলক্ষ এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের থেকে ৩০ হাজার টাকা লোন আনা হয়েছে এছাড়াও পল্ট্রি ব্যাবসায়ীরা কিছু টাকা পাবে শরিফুল মোল্লা ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলেন কোন ব্যাবসাতেই আমার সফলতা আসেনি সব ব্যাবসাতেই লোকসান,আর লোকসান,৫০ লক্ষ টাকা লজ করে স্বর্বস্ব হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জিবনযাপন করছি।
এদিকে সুদি ব্যাবসায়ী কাওসার খন্দকারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সুদে এনে ৩ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে গিয়েই আমি ক্লান্ত ও সর্বশান্ত হয়ে গেছি তার টাকা পরিশোধ করার পরেও শাহিন কাজী আমার তিনটি চেক আটকে রেখেছে এবং কাওসার খন্দকার আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে ।বর্তমানে পাওনাদারদের এই টাকা পরিশোধ করার মত কোন সাধ্য সামর্থ আমার কিছুই নেই।