গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পূর্ব শক্রতার জেরধরে এক সংখ্যালঘুকে গলায় গামছা পেছিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
ভুক্তভুগী জয়দেব বাড়ৈ (৫৫) উপজেলার ধোড়ার গ্রামের মৃত্যু কৃষ্ণ কান্ত বাড়ৈর ছেলে। গত শুক্রবার সকাল ১০ টায় বিলে মৎস্য ঘের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে ।
সরজমিনে জানা যায়, ঘটনার দিন জয়দেব গরূ নিয়ে বিলে যায়। তাকে দেখতে পেয়ে বানীয়ারী গ্রামের মৃত্যু মবজেল শেখের ছেলে জাফর শেখ (৫২) সঙ্গীয় লোকজন সহ জয়দেবের গলায় গ্মছা পেছিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। তার শোর চিৎকারে প্রতিবেশী আলমগীর শেখ এগিয়ে এলে হামলা কারীরা পালিয়ে যায়্ ।
স্বজনেরা তাকে চিকিৎসার জন্য কোটালীপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে । প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎিসার জন্য জয়দেবকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় জয়দেবের স্ত্রী রেভা বাড়ৈ (৩৫) বাদী হয়ে ৪ জনকে বিবাদী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
আলমগীর শেখ জানান- জয়দেবকে ঘেরপাড়ে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমি ও তিলক রায় তুলে নিয়ে আসি। জন মো জয় বাইন বলেন - জয়দেব গরূ নিয়ে বিলে গিয়েছিল , তার হাতে একটি মরা মাছ দেখে জাফর শেখ লোকজন নিয়ে তাকে মারপিট করে। নরেশ বাড়ৈ জানান- জয়দেবকে পিছনের জেরে মারপিাট করেছে , জাফর শেখ একাধিক বার এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে ।
রেভা বাড়ৈ বলেন- শনিবার দিবাগত রাতে জাফর শেখ সহ হামলাকারীরা আমার ঘরে সিধ কেটে নগদ টাকা সহ স্বর্ণলংকার , কাপড় চোপড় ও জরুরী কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায় , জাফর কামরুল গং বারাবার আমাদেরকে মারপিট করে আসছে, তারা এখন আমার মেয়েদের কে অপহরনের ষড়যন্ত্র করছে, আমরা সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই।
জয়দেব বাড়ৈ সাংবাদিকদের বলেন- আমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার উদ্দেশ্যে জাফর শেখ গলায় গামছা পেছিয়ে লোকজন নিয়ে মারপিট করে। তিনি আরো জানান- আমার হাতে কোন মাছ ছিলনা। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সাংবাদিকবৃন্দ জাফর শেখের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান বলেন- এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে জিডি করা হয়েছে , মামলার অনুমতি চেয়ে কোর্টে অবেদন করা হয়েছে ।