কোটালীপাড়ায় পাওনা টাকা না পাওয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পাওনা টাকা না পাওয়ায় এবং প্রকাশ্যে অকথ্য গালিগালাজ ও মানহানিকর কথা বলায় তিন সন্তানের জননী সরস্বতী বাড়ৈ (৩৫) নামক এক গৃহবধূ বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার আটাশীবাড়ী গ্রামের কৃষ্ণ বাড়ৈর স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার এঘটনা ঘটে।

সরজমিনে জানা যায়, গৃহবধূকে সুদের টাকা লাগিয়ে লাভ দিবে এই আশা দিয়ে উক্ত গৃহবধূ থেকে ৫০০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নেয়,পাশের গ্রামের নারিকেল বাড়ির সুন্দর আলী খন্দকারের ছেলে ওবায়দুল খন্দকার (৩০) এবং সে এলাকায় সুদের টাকা লাগায় এবং বিভিন্ন ফন্দি কৌশলে মানুষকে হয়রানি করে এবং উক্ত নারিকেল বাড়ি গ্রামে সুদখোর সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য ওবায়দুল খন্দকার।

তাছাড়া উক্ত গৃহবধূ কে ভাঙ্গারহাট ব্যাংকে ডিপিএস খুলে দিবে বলে তার কাছ থেকে স্বাক্ষরসহ ব্যালাংক চেক নেয়, কিন্তু পূর্বের নেওয়া ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ওবায়দুল খন্দকার সরস্বতী বাড়ৈকে দেয় না এবং সে চেক নিয়েছে ডিপিএস করার জন্য তাও করে দেয় নাই। তখন একপর্যায়ে ১০ তারিখ সকালে সরস্বতী বাড়ৈ ওবায়দুল খন্দকারের কাছে পৃর্বের ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার ) টাকা ও তার নামে দেওয়া চেক চাইলে ওবায়দুল খন্দকার সরস্বতী বাড়ৈ কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মানহানিকর কথা বলে। এবং উল্টো ওবায়দুল খন্দকার সরস্বতী বাড়ৈ কে বলে যে সে তাকে একটা চেক দিয়েছে সেটা ২ (দুই) দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে খুব অঘটন ঘটাবে।

এমনকি ওবায়দুল খন্দকার সরস্বতী বাড়ৈর স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ কে ফোন দিয়ে আবারও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও দুই দিনের মধ্যে চেক ফেরত না দিলে তিনি খুবই অঘটন ঘটাবে। ওবায়দুল খন্দকারের গালাগালি ও হুমকি শুনে কৃষ্ণ বাড়ৈ বাড়ি এসে তার স্ত্রী সরস্বতী কে গালমন্দ করে খামারে চলে যায়। সরস্বতী বাড়ৈ ওবায়দুল খন্দকারের এ ধরনের গালিগালাজ ও হুমকি সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নেয় বলে জানা যায় ঢাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করার পরও বেঁচে থাকতে পারেনি। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার, গ্রাম পুলিশ নকুল বাড়ৈ, লায়েক খন্দকার সহ একাধিক এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন-ওবায়দুলের চেকের বিষয় টা জানার পরে কৃষ্ণ ও তার স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। ওবায়দুল খন্দকার জানান- আমাকে মাসিক ৫ টাকা হারে সরস্বতী বাড়ৈ ৪০ হাজার টাকা সুদে দিয়েছে, টাকা ফেরত চেয়েছিল, পরিশোধ করতে না পেরে তাকে ব্যাংকের একটি চেকের পাতা দিয়েছি, বিষয়টি তার স্বামী জানে না।

নিহতের স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ বলেন- আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে ওবায়দুল কে টাকা দিয়েছে, জিজ্ঞেস করলে ওবায়দুল টাকার কাথা স্বীকার করে, এ নিয়ে ওবায়দুলের সাথে আমার স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে সে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ঢাকা থেকে ময়না তদন্ত করে লাশ সৎকার করা হয়, থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

preload imagepreload image