গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০ নং শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোয়ন পেতে চান ত্যাগী নেতা আঃ আজিজ খান । তিনি কালারবাড়ী গ্রামের মৃত্যু সৈজদ্দীন খানের ছেলে । বহু আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই আলোচিত ব্যক্তিত¦ সাংবাদিকদের বলেন - ১৯৭০ এর নির্বাচন পূর্ব বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী জনসভায় ছাত্র মিছিলে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু । এরপর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ , ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এর হত্যাকান্ড ও জাতীয় চার নেতাকে জেল হত্যার পর খুলনা জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে যোগ দিয়ে সদস্য পদ লাভ করেন তিনি। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বহু হামলা মামলার শিকার হয়ে জীবন বাচানোর তাগিদে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।
কিন্তু আওয়ামীলীগ রাজনীতি করায় চাপার মুখে ১৯৮৬ সালে চাকরী থেকে ইস্তেফা দেন তিনি। রাজনৈতিক চাপের কারনে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় ১৯৮৮ এবং ৯২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুয়াগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হন এই নেতা । যে কারনে তিনি শিকার হয়েছেন বহু অবর্ণনীয় অত্যাচারের । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক আরো বলেন- ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত রক্ষা করতে গিয়ে ত্যাগ করেন তার শেষ সম্পদ । এরপর থেকে প্রায় দুই যুগ ধরে অতি কষ্টে দূর্বি সহ জীবন যাপন করে আসছেন বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এই সহ- সভাপতি ।
খুলনার সেই ছাত্র নেতা , কোটালীপাড়া আওয়ামীলীগ সাবেক নেতা , তথা গোপালগঞ্জের ৭০,৮০ ও ৯০ দশকের পরিচিতি ব্যক্তিত্ব এবং কোটালীপাড়া আন্ত থানা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট ক্রীড়াবীদ আঃ আজিজ খান আরো জানান-আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করলে আমি – বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে গ্রামকে শহরে পরিনত করার যে স¦প্ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রকে উন্নতশীল রাষ্ট্র গড়ার লক্ষে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাব ।