গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চলছে অবৈধ বালু উত্তোনের মহোৎসব । এতে ড্রেজার ব্যবসা চলছে জমজমাট । উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিলে, পুকুরে . মৎস্য ঘেরে চলছে ড্রেজার। বিশেষ করে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে- সোনাখালী, ফুলবাড়ী, ভেন্নাবাড়ী, তালপুকুরিয়া,বানারজোড়,নয়াকান্দি,পিনজুরী, তরুর বাজার,
দেওপুরা,হিজলবাড়ী,বান্ধাবাড়ী,নাগড়া,কলাবাড়ী,নলুয়া,চকপুকুরিয়া,ছিকটীবাড়ী,কুশলা ,আমতলী, ভুয়ারপাড়, হরিনাহাটী সহ উল্লেখিত জায়গায় চোখে পড়ার মতো নিয়মিত চলছে বালু উত্তোলন । সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এসব জায়গায় চলছে বালু উত্তোলনের হিড়িক ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমানের অভিযানে বালু উত্তোলন কিছুটা কমলেও পুনরায় আবার বেড়ে যায় । ড্রেজার মালিক – গচাপাড়ার বিপুল মন্ডল , কাবির শেখ ,আমবাড়ীর চৈতন্য গাইন ,বানারজোড়ের আনিস হাওলাদার , উনশিয়ার সিদ্দীক তালুকদার, নাগড়ার আবু সাইদ এই প্রতিবেদককে জানান-– আমাদের ড্রেজার মালিকদের সমিতি আছে , আমরা সমিতির আওতায় ড্রেজার চালাই । অনেকেই জানান- বালু উত্তোলনের কারনে ফসলী জমি সহ বাড়ী –ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্ত-ভূগীরা।
বান্ধাবাড়ী ইউনিয়ন তহসিলদার ইলিয়াস হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমার জানা নাই , জানলে সাথে সাথে ড্রেজার চলা বন্ধ করার চেষ্টা করি।
সাদুল্লাহপুর ইউনিয়ন তহসিলদার অসীম কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- ড্রেজার চালানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।
কান্দি ইউনিয়ন তহসিলদার সমীর বাবু জানান- ড্রেজার চলার ব্যাপারে আমার কাছে কোন খবর নেই। অন্যান্য তহসিলদারাও ড্রেজার চালানোর বিষয়টি না জানার ভান করে এড়িয়ে যান।
বিভিন্ন এলাকার বিজ্ঞ মহল জানান- ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, এক সময় বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হব আমরা।