“কাশিয়ানী উপজেলায় আবারও সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু “


গত ৬ নভেম্বর ২০২২ খ্রি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শরিফুল ইসলাম নামের একজন যুবক সাপের কামড়ে মারা গেছে। সাপে কাটার পরে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন না থাকায় গোপালগঞ্জ মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন না থাকায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে মারা যায়। উল্লেখ্য গত ৩১ অক্টোবর কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের আলামিন শেখ (২৫) নামের এক যুবক সাপের কামড়ে মারা যায়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মানিত সদস্য জনাব ডাঃ এস এম হুমায়ূন কবীরের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১১ নভেম্বর কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারীভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন সরবরাহ করা এখন সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জের এক বহুল জনবসতিপূর্ণ উপজেলা কাশিয়ানীতে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত সাপে কাটা রোগী পুরাতন কুসংস্কারপূর্ণ ওঝার ঝাড় ফুকের উপর নির্ভর করে জীবন হারাচ্ছে। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা মৌলিক অধিকার হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে কিন্তু সেখানে সাপে কামড়ানো রোগীর জন্য অত্যাবশকীয় অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে না পাওয়ায় সাপে কাটা রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।
প্রতিষেধক আবিষ্কারের আগে বিষাক্ত সাপে কেটে মৃত্যুর প্রহর গোনা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। কিন্তু এখন সাপে কাটা রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই দিতে পারেন অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন। কিন্তু কাশিয়ানী উপজেলা এবং গোপালগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
অ্যান্টিভেনম চিকিৎসা মিলছে না। ফলে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে সাপে কাটা রোগী।