কাশিয়ানীর পারুলিয়া ইউনিয়নে বে- আইনি ভাবে দেশীয় প্রজাতির মৎস শিকার, কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ!

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলাধীন পারুলিয়া ইউনিয়নের বড় পারুলিয়া টু কৃষ্ণপুর রাস্তা সংলগ্ন খালে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য শিকার করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে খালে বাঁধ দিয়ে পানি সেচে মাছ ধরছে আশরাফ আলী টুকু ফকির জামাল শেখ আব্দুল সহ অনেকেই। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ – সন্ধ্যার পরে পারুলিয়া টু কৃষ্ণপুর রাস্তায় চলাকালীন সময় যদি কেউ টর্চ লাইট মেরে পথ চলতে গেলেও হুমকির মুখে পড়তে হয় এবং বকাঝকা শুনতে হয়। গত দুই/ তিন দিন ধরে খালে বাধ দেওয়ার সময় স্থানীয় জৈনিক ব্যক্তি, কতৃপক্ষ কে ফোনে অবগত করলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি কোনরকম পদক্ষেপ।
পরবর্তীতে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে ও সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য সংগ্রহ করি। এ ব্যাপারে কাশিয়ানী মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ এক সাক্ষাৎকারে বলেন বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী খাল সেচে বা পানি নিষ্কাশন করে মাছ ধরা সম্পূর্ণ অবৈধ। একশ্রেণীর দুষ্কৃতকারী মসজিদ মাদ্রাসা মন্দির নামে মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে সাধ্য হাসিল করছে। তিনি আরো বলেন- আমি দুই এক দিনের ভিতরে এলাকার লোকজন নিয়ে বসবো।
এ দিকে সচেতন মহলের দাবি বঙ্গবন্ধু কন্যা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী ইলিশ মাছ প্রজননের সময় মাছ ধরা বন্ধ এবং বাংলা নববর্ষের দিন ইলিশ মাছ খাওয়া নিষেধ করেছেন শুধু মাছের প্রজনন ঠিক রাখার জন্য। এতে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী মাছ পাবে। সে খানে দেশীয় প্রজাতি মাছের প্রজনন ঠিক রাখতে স্থানীয় কতৃপক্ষের অবহেলা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উক্ত খালের সেচ এবং দেশীয় প্রজন্মের মাছগুলো ধরা অব্যাহত রয়েছে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *