কাঁচা রাস্তা আর পাকা হয় না! দুর্ভোগে শিক্ষার্থী সহ নানান পেশার সাধারণ মানুষ
নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি ইউনিয়নের, চাপড়া কাছারীর বাজার হইতে কাশিরাম দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা সড়কের দৃশ্য। বৃষ্টি হলে কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীকে এ সড়কে চলাচল করতে হয়।
নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানি, কাছারীর বাজার হইতে চওড়া বাজার তারাগঞ্জ সৈয়দপুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ২০ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।এলাকাবাসী জানায়, কাঁচা এই রাস্তাটি বৃষ্টিপাতের কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায়। ঘন বর্ষার সময় জল কাদায় শিশু মহিলা ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এ রাস্তা। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না।
বর্ষাকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। প্রায় ১০ হাজার মানুষের এলাকাটি সৈয়দপুর তারাগঞ্জ সহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র চাপড়া কাছারী চৌরাস্তা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দক্ষিণে আর চওড়া বাজার থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে। চাপড়া কাছারী, চেয়ারম্যান পাড়া থেকে গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি শুরু হয়ে দক্ষিন পাশে নাটুয়াপাড়া হয়ে কাশিরাম মাদ্রাসা চওড়া বাজার আল-হুদা একাডেমি স্কুল পর্যন্ত ।
রাস্তাটির দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। এ গ্রামে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে। কয়েক কিলোমিটার দূরের খালিশা বেলপুকুর স্কুল এন্ড কলেজ, হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজ ও চড়াইখোলা স্কুল এন্ড কলেজে যাতায়াত করে। গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ স্থানীয় উত্তরা ইপিজেড এর বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকে কৃষিকাজও বিভিন্ন ব্যবসা করেন।
গহের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা, মোঃ আজিজ বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা, ভ্যান , ও অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এয়াজুল ইসলাম বলেন, ২০ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা।কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, নেতা আসে নেতা যায় কিন্তু এ রাস্তা এভাবেই রয়ে যায় পাকা আর হয় না। চাপড়া সরমজানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ঐ রাস্তার বাজেট পাশ হয়েছে করোনার জন্য বন্ধ আছে ২০২১ সালেই কাজ সম্পন্ন হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিনা আক্তার বলেন, প্রস্তাব দেওয়া আছে এ বছর অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।