কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সহিত মানুষের জন্য কাজ করে মানবিকতার পরিচয় দিতে চান- পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা

কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সহিত মানুষের জন্য কাজ করে মানবিকতার পরিচয় দিতে চান- গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম।পাশাপাশি পোষাকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রতিনিয়ত নিজেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সমৃদ্ধ রাখতে চান তিনি। কর্মক্ষেত্রে নারীরাও যে পুরুষদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়, ইতোমধ্যেই তিনি তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রতিনিধির সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানা গেছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলায় সফলতা ও সুনামের সাথে এক বছর পূর্ণ করলেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম মহোদয়। গত বছরের ৪ জানুয়ারিতে গোপালগঞ্জ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম মহোদয়। যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখেছেন নতুনত্ব ও সফলতার ছোঁয়া। বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা ও ঢাকা রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) মহোদয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, বিট পুলিশিং এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক পুলিশিং বাস্তবায়নে একজন প্রকৃত অভিভাবকের ন্যায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টিম গোপালগঞ্জকে, সর্বমহলে সুনাম অর্জন করে নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন শতভাগ। ফলশ্রæতিতে গোপালগঞ্জ জেলার প্রতিটি অঞ্চলে কমেছে অপরাধের মাত্রা, হ্রাস পেয়েছে মুলতবি মামলার জট, মাঝে টুঙ্গিপাড়া থানা বেশ কিছুদিন ছিলো সম্পূর্ণ মামলা শুন্য, যা গোপালগঞ্জ জেলার ইতিহাসে প্রথম ও বিরল। এরই ধারাবাহিকতায় দিনদিন সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করার ক্ষেত্রে দ্রতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে পুলিশিং সেবা। “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”, এই প্রতিপাদ্যে দীক্ষিত হয়ে প্রথম দিন থেকেই জেলা পুলিশের সুযোগ্য অভিভাবক হিসেবে দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে জেলার প্রত্যেক পুলিশ সদস্য আজ উজ্জীবিত। বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি মহোদয় এবং ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এবং ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ি ভিজিটের ভিভিআইপি প্রোগ্রামকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক পুলিশিং কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ সুপার মহোদয় এবং শতভাগ সফলতা অর্জন করে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। করোনাকালীন অতিমারীতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য ছিলেন সদাজাগ্রত, জেলা পুলিশের উপস্থিতি আর প্রচেষ্টা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে অত্যন্ত সুনামের সাথে, সম্মানিত গোপালগঞ্জবাসীর নিকটও তা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে পুলিশিং সেবাকে পৌঁছে দিতে পূর্ণ উদ্যোমে বিট পুলিশিং বাস্তবায়ন, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন, ভিআইপি প্রোগ্রাম সহ নানাবিধ প্রোগ্রামে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ, ট্রেইনি রিক্রুট কন্সটেবল নিয়োগের সবগুলো ধাপ এবং সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) নিয়োগ কার্যক্রমে প্রাথমিক বাছাই পর্ব শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে সম্পন্নকরণ, দৈনন্দিন পুলিশিং সেবাকে সহজীকরণসহ নানাবিধ কার্যক্রম গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়, যার মূল বাস্তবায়নকারী পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে জেলা পুলিশ সুপারের অভিভাবকসুলভ নেতৃত্ব, প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধায়ন এবং শতভাগ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ফলশ্রæতিতে জেলা পুলিশের সকল সদস্য উদ্দীপনা সহকারে কাজ করে যাচ্ছে এক সফল টিম হিসেবে। আগত দিনগুলোতেও একই উদ্দীপনা ও দুর্বার গতিতে কাজ করে বাংলাদেশের পূন্যভূমি এই গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশিং কার্যক্রমকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম মহোদয় এবং তার সকল সহকর্মীবৃন্দ।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *