করোনা প্রতিরোধে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় মসজিদ ভিত্তিক প্রচারনায় ওসি মনিরুল ইসলাম


পবিত্র-ঈদ-উল-আজহা পরবর্তী সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ (২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট) কার্যকর করতে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা পিপিএম-সেবার নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
দুঃখের বিষয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এক শ্রেণির অসচেতন মানুষ এ দিক সে দিক চলাফেরা করছেন। এরফলে করোনায় সংক্রমনের হারও বেড়েছে।
যা রীতিমতো গোপালগঞ্জবাসীর জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায়, জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ সদর থানা সহ জেলার ৫টি থানার আওতাভুক্ত সকল মসজিদে-মসজিদে করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিরাম ভাবে কাজ করে চলেছে জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
এ লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) পবিত্র জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর থানার কাজুলিয়া ইউনিয়নের আওতাভুক্ত কাজুলিয়া বাজার জামে মসজিদে করোনা সংক্রান্তে বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম বার পিপিএম বার এর দিক নির্দেশনায় মসজিদ ভিত্তিক প্রচারনার অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবেলায় ডিআইজি হাবিবুর রহমানের পক্ষে আজও মুসল্লিদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম করোনা মোকাবেলায় আজ শুক্রবার পবিত্র জুম্মাহ’র নামাজের খুতবার পূর্বে মুসল্লিদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কঠোর লকডাউন কার্যকর করে এবং সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারীদেরকে জেল-জরিমানা করেও ঘরের বাহিরে বের হওয়া এক শ্রেণির লোকজনকে ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমে বেড়েই চলেছে।
ওসি মনিরুল ইসলাম ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার না করে কোন উপায় নেই। সাবান দিয়ে বার বার হাত ধৌয়া জরুরি। দুই হাতে সাবান মেখে নূন্যতম ২০ সেকেন্ড দুরুদ শরীফ পাঠ করতে পারেন। এতে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ হবে। প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
মানুষ সামাজিক জীব, সে সমাজে একা বসবাস করতে পারে না। সেজন্য তাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বসবাস করতে হয়। যেহেতু করোনা একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং তা মানুষের সংস্পর্শেই ছড়ায়। আপনার অসাবধানতায় যদি করোনা আপনার সাথেই আপনার বাড়িতে পৌঁছায়। তাহলে আপনার পরিবারের আপন জনেরাও এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ঝুকিতে পৌঁছে যাবে। তাই এখনো সময় আছে আপনারা সচেতন হোন, পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনি নিজে বাঁচুন এবং আপনার পরিবারের প্রিয়জনদেরকে বাঁচাতে সাবধান হোন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদেরকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বাহিরে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।