করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দিক নির্দেশনায় গ্রামের মসজিদে মসজিদে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের প্রচারণা
দেশজুড়ে করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। গোপালগঞ্জেও করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কম নয়। পবিত্র-ঈদুল-আজহা উপলক্ষে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য শর্ত সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে, যাতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রিয় জনদের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মানুষ পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে। এতে করোনায় সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে যা রীতিমতো শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় গোপালগঞ্জ সদর থানা সহ জেলার ৫টি থানার আওতাভুক্ত সকল মসজিদে মসজিদে করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অবিরত ভাবে কাজ করে চলেছে জেলা পুলিশ। এ লক্ষ্যে শুক্রবার (১৬ জুলাই) পবিত্র জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর থানার আওতাভুক্ত লতিফপুর ইউনিয়নের আওতাভুক্ত কাজীর বাজার চর মানিকদাহ জামে মসজিদে করোনা সংক্রান্তে বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের পক্ষে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারনার অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবেলায় মুসল্লিদের মাঝে আজ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন মানবিক এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম করোনা মোকাবেলায় আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে মুসল্লিদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কঠোর লকডাউন কার্যকর করে এবং সরকারি বিধি নিষেধ অমান্যকারীদেরকে জরিমানা ও গ্রেফতার করেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে বের হওয়া এক শ্রেণির লোকজনকে ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমে বেড়েই চলেছে। ওসি মনিরুল ইসলাম ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার না করে কোন উপায় নেই।
সাবান দিয়ে বার বার হাত ধৌত করা জরুরি। দুই হাতে সাবান মেখে নূন্যতম ২০ সেকেন্ড দুরুদ পাঠ করতে পারেন। এতে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ হবে। প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব, সে সমাজে একা-একা বসবাস করতে পারে না। সেজন্য তাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বসবাস করতে হয়। যেহেতু করোনা একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং তা মানুষের সংস্পর্শেই ছড়ায়। আপনার অসাবধানতায় যদি করোনা আপনার সাথেই আপনার বাড়িতে পৌঁছায়।
তাহলে আপনার পরিবারের আপন জনেরাও এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ঝুকিতে পৌঁছে যাবে। তাই এখনো সময় আছে আপনারা সচেতন হোন, পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনি নিজে বাঁচুন এবং আপনার পরিবারের প্রিয়জনদেরকে বাঁচাতে সচেষ্ট হোন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদেরকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বাহিরে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।