প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫, ৩:০৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১০, ২০২১, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
ওয়ান টাইম মাস্ক বারবার ব্যবহারে গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে —ওসি মনিরুল ইসলাম

গোপালগঞ্জে করোনা (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ওয়ান টাইম মাস্কের ব্যবহার বাড়লেও বয়স্ক জনগণের মাঝে সচেতনতার ব্যপক অভাব দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একটি ওয়ান টাইম সার্জিক্যাল মাস্ক মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেওয়ার কঠোর নির্দেশনা থাকলেও গোপালগঞ্জে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের ভেড়ার বাজারের বিভিন্ন স্থানে বিট পুলিশ অফিসার ও ডিউটি অফিসারের মোবাইল নম্বর সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে অসচেতনতার এ দৃশ্য ধরা পড়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলামের চোখে।
পরে তিনি অসচেতন বয়স্ক ওই সকল জনসাধারণকে সচেতন করে বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে ওয়ান টাইম সার্জিক্যাল মাস্ক একাধিকবার ব্যবহার করার ফলে করোনার চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। আর বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণে। তাছাড়া গোপালগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হার ইদানিং সকলকে অনেকাংশে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তিনি স্বল্পমূল্যে বাজার থেকে ৩ লেয়ারের ওয়াশ অ্যাবল (সহজে পরিস্কার ও একাধিকবার ব্যবহার যোগ্য) মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন।
এছাড়াও তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে ঘরে থাকতে এবং জরুরী প্রয়োজনে মাস্ক পরিধান করে চলাফেরা করতে অনুরোধ জানান।পরে তিনি অসচেতন বয়স্ক মানুষকে নিজ হাতে মাস্ক পরিয়ে দেন।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ ঘোষ,
অন্যান্য পুলিশের সদস্য বৃন্দ সহ জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত