এবার অশ্লীল দৃশ্যে দেখা গেল মেহজাবিনকে

সময় পাল্টেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে অভিনয়ের প্ল্যাটফর্ম। বড় পর্দা, ছোট পর্দা, ইউটিউবের পর এখন গুরুত্ব পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। অভিনয়শিল্পীরাও ঝুঁকছে এই প্ল্যাটফর্মের দিকে। ওটিটিতে নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখছেন অনেক অভিনয়শিল্পী। কিন্ত শুরু থেকেই ওটিটির বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ ছিল। সেটা হলো সেন্সরশিপ না থাকায় অশ্লীল দৃশ্য প্রদর্শন করে এই প্ল্যাটফর্ম। গল্পের প্রয়োজনে অশ্লীল দৃশ্য ব্যবহারে পরিচালকেরা বেছে নিচ্ছে আমাদের দেশীয় অভিনয়শিল্পীকে। বর্তমানে শালীন অভিনেত্রীর সংখ্যা খুবই কম রয়েছে। ধীরে ধীরে ওটিটির মাধ্যমে অশ্লীলতায় নাম লিখিয়েছেন অনেক অভিনয় শিল্পী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নাম লেখালেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী।

কি অবাক হলেন? ছোট পর্দার শালীন অভিনেত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলে প্রথমেই বলবেন মেহজাবিন চৌধুরীর কথা। ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই মনোমুগ্ধকর গল্পে কাজ করে খুব অল্প সময়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আজ পর্যন্ত অশ্লীল সংলাপ ব্যবহার করেছেন কিনা তাও আমাদের জানা নেই। ঠিক তিনিই সম্প্রতি ভিকি জাহেদ’র “আরারাত” ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে অশ্লীলতায় নাম লিখিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওটিটি প্লাটফর্ম বিঞ্জে ২ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ট্রেইলারে প্রথম মেহজাবিনকে বিভিন্ন জায়গায় অশ্লীল দৃশ্যে দেখা যায়। পরে ওয়েব সিরিজটি প্রকাশের পর দেখা গেছে কিছু অশ্লীল দৃশ্য। যা এর আগে এমন দৃশ্যে কখনো দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে।

ট্রেইলারটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুকে) এর বিভিন্ন গ্রুপে ইতিবাচক-নেতিবাচক মন্তব্যও দেখা যাচ্ছে অহরহর। কেউ কেউ সমালোচনা করে নেতিবাচক মন্তব্য করছে মেহজাবিনের এই অশ্লীলতাকে নিয়ে। ট্রেইলার প্রকাশ পাওয়ার পরপরই মেহজাবিনকে অনেকেই অনেক নেতিবাচক কথা বলছে। “বাংলা নাটক” গ্রুপে এক দর্শক পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “ক্যারিয়ারে প্রথমবার সাহসী দৃশ্য সময়ের সেরা অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। অবশেষে তিনিও সেই সাহসের পথটাই বেছে নিলেন। সত্যি অসাধারণ অভিনেত্রী তিনি। ফ্যামিলি অডিয়েন্স এর জন্য এটা নয়, কারণ এটাতে ১৮+ এলার্ট দেওয়া আছে”

সেই পোস্টটির মন্তব্য ঘরে গেলে অনেকেই পর্নস্টারদের নাম লিখেও বলেন, “তাদেরও অনেক সাহস”। ভক্তরা বলছেন, “পছন্দের নায়িকা অপছন্দ হয়ে গেল”, এটা যদি সাহসী হয় তাহলে নোংরামি কি?”, ” নোংরামি করলেই সাহসী উপাধি পেয়ে যায়”। আবার কেউ কেউ পাগলের সাথে তুলনা করে বলেন, “নগ্নতা মানেই যদি সাহসিকতা হয় তাহলে রাস্তার উলঙ্গ পাগল গুলোই সবচেয়ে বড় সাহস”। এক ভক্ত রাগান্বিত হয়ে মন্তব্য করে বললেন, “তোরা নাটক করবি কর, তোদের কাপড় খুলতে বলল কে? (অপ্রকাশ যোগ্য)।

মেহজাবিনের অশ্লীলতায় নাম লেখানো প্রসঙ্গে “বাংলা নাটক” গ্রুপে পোস্ট করলে দর্শকরা জানান, “অভিনেত্রীরা পারেনা এমন কোন অশ্লীল কাজ মনে হয় নাই, যারে একটু ভালো মনে করি সেই শুরু করে অশ্লীলতা। এখন আর কারো থেকে ভালো কিছু আশা করি না”, “টাকার জন্য এরা সব করতে রাজি, এদের আত্মসম্মান বলতে কিছু নেই”, “মেহুর (মেহজাবিন) লজ্জা কমে গেছে, সামনে আরো বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করবে”, “এখন তো এসব দেখতে চায় সবাই, যত খুলবে তত চলবে”।
পরিচালককে টেনে এক ভক্ত মন্তব্য করে বলেন, “খুবই কষ্ট পেয়েছি ভিকি জাহেদ মেহু আপুকে অশ্লীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে”। এক ভক্ত যুগের কথা বলে বলেন, “এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে, তাই এরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নষ্ট হচ্ছে”।

এর আগে ওটিটির মাধ্যমে অশ্লীলতায় দেখা গিয়েছে, নাজিয়া হক অর্ষা ‘বুমেরাং’, তাসনুভা তিশা ‘আগস্ট ১৪’, ফারহানা হামিদ ‘সদরঘাটের টাইগার’, নিপুণ আক্তার ‘গেম গার্ডেন’, কাজল সুবর্ণ ‘ভয়ের গল্প- ছায়া’, সানিতা রহমান সামান্তা ‘ভয়ের গল্প- আয়না’, মৌটুসী বিশ্বাস ‘বুমেরাং’, ‘নায়িকার এক রাত’, শাবনাজ সাদিয়া ইমি ‘বুমেরাং’।

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে সাফা কবির ‘টিকিট’, জয়া আহসান ‘দশম অবতার’, ‘বিজয়’ ‘রবিবার’ ও ‘রাজকাহিনী’, আজমেরী হক বাঁধন ‘কুফিয়া’, পরী মণি ‘পাফ ড্যাডি’, মাহিয়া মাহি ‘মরীচিকা’, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’।

২০১৭ সালের আগষ্টে কুসুম সিকদারের একটি মিউজিক ভিডিওতে রগরগে দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করায় অশ্লীলতার অভিযোগ এনে পর্নোগ্রাফির মামলা হয়। এখন অনেকেই বলছেন কুসুম সিকদারের সেই ভিডিওর বিরুদ্ধে যদি পর্নোগ্রাফির মামলা হতে পারে। তাহলে এ রকম অশালীন দৃশ্য ও সংলাপের জন্য কেন নয়? অথচ সরকার যেখানে পর্নোগ্রাফি বন্ধে তৎপর।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *