উইঘুর মুসলিমদের ‘রক্ষার’ বিলে সাক্ষর ট্রাম্পের


চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা উইঘুর মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন ‘ঠেকাতে’ নতুন একটি নিষেধাজ্ঞার বিলে বুধবার সাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প এমন এক সময় এই ঘোষণা দিলেন, যখন তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন নতুন বইয়ে দাবি করেছেন, উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের বিষয়ে ট্রাম্প চীনকে আগে অনুমতি দিয়েছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই বিলটির বিরুদ্ধে কংগ্রেসে মাত্র একটি ‘না’ ভোট পড়ে।
উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের আচরণের বিরোধিতা করে এই বিলের মাধ্যমে ‘শক্ত বার্তা’ পাঠাতে চায় আমেরিকা।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের বেশি মুসলিমকে ক্যাম্পে আটকে নিয়মিত নির্যাতন করা হয়।
চীন সব সময় এই তথ্য অস্বীকার করে। তাদের দাবি, মুসলিমদের ক্যাম্পে সব ধরনের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা পর্যন্ত আছে। তারা যেন মৌলবাদে না জড়ায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আইন ট্রাম্প অনুমোদন দেয়ায় চীন আবার প্রতিবাদ করেছে। এই সিদ্ধান্তকে তারা ‘মানহানি’ বলেছে।
‘আমরা আবার আমেরিকাকে তাদের ভুল শুধরে নেয়ার আহ্বান জানাই। জিনজিয়াং সম্পর্কিত কোনো আইন চীন মেনে নেবে না।’
নির্বাসিত ইউঘুর মুসলমানদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘এই আইনের কারণে উইঘুরের নির্যাতিত মানুষ নতুন দিশা খুঁজে পাবে।’
আইনের অর্থ: এই আইনের কারণে মার্কিন প্রশাসন এখন চীনের সেই সব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করবে যারা উইঘুরে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এরপর আমেরিকার সঙ্গে তাদের কোনো আর্থিক সম্পর্ক থাকলে সেটি নিষিদ্ধ হবে। বাতিল হবে ভিসা।